পঞ্চায়েত ভোটের আগে বড় ভাঙ্গন শাসক দলে; বিজেপিতে যোগদান কেশপুর।
কেশপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ- ২০২১ সালের পর কেশপুরে বিজেপির এই প্রথম সভা! আর সেই সভাতেই তাক লাগিয়ে দিল বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রাজ্য সভাপতির হাত ধরে শাসকদলের যুব সভাপতি যোগদান করলেন পদ্মফুলে। কেশপুর ব্লকের অন্তর্গত ১৪ নম্বর অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি রবি মুর্মু সহ ৩০ জন কার্যকর্তা বিজেপিতে যোগদান করলেন। সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, মূলত শাসকদলের দুর্নীতি এবং নিচু তলার কর্মীদেরকে প্রাধান্য না দেওয়ার কারণেই তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন। সেই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন,- বেকার ছেলেরা যাদের বাড়িতে টাকা দেওয়ার সামর্থ্য নেই, তারা কি সরকারি চাকরি করতে পারবেন না এই সরকারের আমলে?
বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান, পুলিশ প্রশাসন দিয়ে কেশপুরে বিজেপিকে কোনভাবেই রোখা যাবেনা। পাশাপাশি তিনি পুলিশ প্রশাসনকে জানান, সভার শেষে কর্মীরা বাড়ি ফেরার পথে যদি কোন ধরনের হামলার সম্মুখীন হয়, তাহলে তিনি আগামীকাল আবার আসবেন কেশপুরের বুকে। ১৫ নম্বর অঞ্চলে ভোট পরবর্তী হিংসায় শাসকদলের হাতে খুন হতে হয় বিজেপির কর্মী সুশীল ধাড়া কে। তার পরিবারের হাতে তিনি ৫ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন। পাশাপাশি তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতি নিয়েও চড়ান কেশপুরের সভা থেকে। সেই সঙ্গে তিনি জানান কয়লা ভাইপো যেদিন অ্যারেস্ট হবে গোটা কেশপুর জুড়ে তুবড়ি ফাটবে। ভাইপো অ্যারেস্ট হওয়ার পর দিন থেকেই কেশপুরের সমস্ত বুথে বুথে বিজেপির পতাকা তোলারও নিদান দেন তিনি।