জমিতে দেওয়াল দেওয়ার নাম করে কেটে ফেলা হচ্ছে গাছের শেকড়,নীরব প্রশাসন ও বনদপ্তর।
সৌমিত্র গাঙ্গুলি, সালানপুর, পশ্চিম বর্ধমানঃ- একদিকে রাজ্য প্রশাসন ও ডিভিসি কর্তৃপক্ষ ডাক দিয়ে চলেছে মাইথন পর্যটন কেন্দ্রেকে গ্রীন মাইথন ক্লিন মাইথন হিসেবে গড়ে তোলার। আর ঠিক মাইথনের রাস্তার পাশেই জমি মাফিয়ারা একের পর এক গাছ কেটে চলেছে। এমনি দৃশ্য দেখতে পাওয়া গেলো কল্যানেশ্বরী ফাঁড়ির তত্বাবধানে গড়ে উঠা সালানপুর থানার পুলিশ বাগানের একদম পাশেই জয়দেব গরাই নামক ব্যাক্তির হদলা মৌজার ১০৩ দাগের জমিতে। প্রায় ৫৬ ডেসিমল জমির উপর কয়েক মাস আগে একাধিক বড় বড় গাছ বিনা অনুমতিতে কেটে ফেলা হয়। সেইসময় বনদপ্তর খবর পেয়ে কেটে ফেলা গাছগুলি বাজেয়াপ্ত করেন। কিন্তু এবার অর্থাৎ রবিবার ২৫শে জুন পূনরায় ওই জমির উপর জেসিপি লাগিয়ে কাঁটা গাছ গুলির শিকড় উপড়ে ফেলার কাজ করতে দেখা যায়। এবং সেই জায়গায় বাউন্ডারি অর্থাৎ জমিতে পাঁচিল দেওয়ার জন্য জায়গাটির সামনের অংশে এবং মাঝের অংশে জেসিপি লাগিয়ে গাছের শিকড় সহ মাটি কাটার দৃশ্য ধরা পড়ে।
সেই খবর দেওয়া হয় কল্যানেশ্বরী ফাঁড়ির পুলিশ আধিকারিক উজ্জ্বল সাহাকে। যদিও নাম মাত্র তদন্ত ব্যাতিরেকে কোন উদ্যোগ পুলিশ গ্রহণ করেনি বপ্লে অভিযোগ। এরপর বনদপ্তরের পক্ষ থেকে এক ব্যক্তি ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তিনি জানান আগে যে গাছগুলি কাটা হয়েছে সেই গাছ গুলির শিকড় তোলার অনুমতি পরে দেওয়া হয়েছে। তবে বাউন্ডারি নামে যে গর্ত করা হচ্ছে, তাতে যে সমস্ত গাছগুলির শিকড় নষ্ট হচ্ছে তার কোনো অনুমতি নেই। তবে জমির মালিককে সতর্ক করা হয়েছে। বলা হয়েছে অনুমতি ছাড়া গাছ বা গাছের কোনো শিকড় কাটা যাবে না। তবে প্রশ্ন যেই গাছ গুলির শিকড় কাটা হয়ে গেলো সেই গাছগুলি কী জীবিত থাকবে? না কিছু দিন পর শুকিয়ে নষ্ট হয়ে পড়বে? সেই গাছ গুলির দায়িত্ব কে নেবে? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে কার মদতে দিনের আলোয় এই ধরণের কাজ চলছে এবং প্রশাসন বা বনদপ্তর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না কেন? এই নিয়ে দুই বার গাছ কাটার চিত্র সামনে এলো ওই জমিটির থেকে।