“জ্ঞানেশ্বরী কাণ্ডে অভিযুক্ত ছত্রধর তৃণমূলের সম্পদ! মমতার আমলে রেল দুর্ঘটনায় ১৪০০ মানুষের মৃত্যু” পাল্টা দিলেন সুকান্ত।
পশ্চিম মেদিনীপুরঃ- রেল দুর্ঘটনার জন্য রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের পদত্যাগ দাবি করেছেন তৃণমূল। এর পাল্টা দিতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, ইস্তফা দেওয়া মানে পালিয়ে যাওয়া। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পালিয়ে যেতে পছন্দ করেন। তারা তা করবেন না। একই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন প্রায় সাড়ে ৫০০টার মতো রেল দুর্ঘটনা ও ১৪০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল বলে মনে করিয়ে দিয়েছেন সুকান্ত। এমনকি জ্ঞনেশ্বরী দুর্ঘটনায় অভিযুক্ত ছত্রধর মাহাত এখন তৃণমূলের সম্পদ বলেও কটাক্ষ করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।
পিংলায় জনসম্পর্ক সভা করতে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অশ্বিনী বৈষ্ণবের পদত্যাগ দাবি প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন,” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন সব মিলিয়ে ৫৪০ টার উপর দুর্ঘটনা ঘটেছিল।১৪০০ মানুষ মারা গিয়েছিলেন। ৮০০ কাছাকাছি রেল লাইনচ্যুত হয়েছিল। তার আমলে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় পড়েছিল। তখন উনি কেন ইস্তফা দেন নি? এত এত দুর্ঘটনার জন্য তো তার ডাবল ডাবল ইস্তফা দেওয়া উচিত ছিল, ঠিক ডাবল ডাবল চাকরি মত।”
তিনি আরো বলেন,” জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ছত্রধর মাহাতো এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে ঘোরে। সে এখন তৃণমূলের সম্পদ। সেই কারণে সেই সময় ঘটে যাওয়ার ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্তের কোন ফলাফল পাওয়া যায়নি। সবকিছু চেপে দেওয়া হয়েছিল।”
বিজেপির রাজ্য সভাপতির কথায়, “ইস্তফা দেওয়া মানে পালিয়ে যাওয়া। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পালিয়ে যেতে ভালোবাসেন। আমরা আমাদের মন্ত্রীরা পালিয়ে যাওয়াতে বিশ্বাস করি না। আমরা যে অপরাধী তাকে সাজা দেবো, রেলকে বিশ্বমানের তৈরি করব।”
এরপরই সুকান্ত বাবু দাবি করেন, বর্তমানে ভারতীয় রেল যেভাবে সুরক্ষা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছে তাতে আগামী কয়েক বছরই দুর্ঘটনা সংখ্যা শূন্যতা নেমে আসবে। আগের তুলনায় অনেক উন্নত হয়েছে ভারতীয় রেলে। বন্দে ভারতের মতো হাইস্পিড ট্রেন দেশের মাটিতে চলবে এটা কেউ কোনদিনও ভাবতেই পারেনি।”
রেল দুর্ঘটনার প্রসঙ্গ ছাড়াও কালিঘাটের কাকু প্রসঙ্গে তৃণমূলকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, কাকু হন বা ডাকু হন বাঁচবে কেউ না।মুখে কুলুপ দিন বা কুলফি রাখুন কিভাবে কথা বের করতে হয় সিবিআই আর ইডি সব জানে। সব কথা বেরোবে গোপনে কিছু থাকবে না। প্রসঙ্গত,রাজ্যে সর্বত্র তিন মাসে এক হাজারটি সভা করবে বিজেপি। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে নির্দেশে নরেন্দ্র মোদী সরকারের নয় বছর পূর্তিতে রাজ্যজুড়ে কেন্দ্রে সাফল্য প্রচার করবে বিজেপি। রবিবার সেই কর্মসূচি শুরু করেন সুকান্ত পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতে সভা করে। করোনা টিকা থেকে বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী প্রদান, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, সড়ক নির্মাণের মতো বিষয়গুলো বঙ্গ বিজেপির তরফে তুলে ধরা হচ্ছে এই সমস্ত সভা থেকে।