লছিপুর যৌনপল্লীতে পুলিশের বিশেষ অভিযান, আটক সাত।
সৌমিত্র গাঙ্গুলি, পশ্চিম বর্ধমানঃ- কুলটির লছিপুর অঞ্চলের যৌনপল্লীতে দালালরাজ খতম করতে বৃহস্পতিবার রাতে কুলটি থানার নিয়ামাতপুর ফাঁড়ির পুলিশ একটি বিশেষ অভিযান চালায়। যেখান থেকে পুলিশ সাতজনকে গ্রেফতার করে। স্থানীয় কাউন্সিলার জাকির হোসেন জানিয়েছেন, যৌনপল্লীতে অসাধু দালালরাজের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে। রাত হলেই বহিরাগত বহু যুবক এই স্থানে জড়ো হয়। যারা গ্রাহকদের দালাল পরিচয় দিয়ে সর্বস্ব লুঠ করে। সাথে নানা প্রকার অসাধু কাজের সাথে জড়িয়ে থাকে। বিশেষত পার্শ্ববর্তী রাজ্য ঝাড়খণ্ড থেকে কোনো গ্রাহক এলেই তারা ওত পেতে থাকে। সমস্ত বিষয়টি পরিচালিত হয় দুনম্বর জাতীয় সড়কের ধারে অবস্থিত একটি বেসরকারি হোটেল থেকে। ইতিপূর্বে বিষয়টি প্রশাসনের সর্বস্তরেই জানানো হয়েছে। পুলিশের এই ধরনের অভিযান অনেক আগেই প্রয়োজন ছিল। স্থানীয় মানুষ হিসাবে আমাদের দাবি, যৌনপল্লীতে এই অসাধু দালালরাজ উৎখাত করতে পুলিশের ধারাবাহিক অভিযানের প্রয়োজন রয়েছে।
অন্যদিকে পুলিশি অভিযান নিয়ে যৌনকর্মীরাও তাদের খুশি ব্যক্ত করে জানিয়েছে, দালালদের অত্যাচারে তাদের জীবিকা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রতিদিন। তাছাড়াও লছিপুর যৌনপল্লীর যৌনকর্মীদের নামে নানা প্রকার কুৎসা ছড়িয়ে পড়ছে। গ্রাহকরা লুঠের রাজত্ব কায়েম হওয়ায় ওই অঞ্চলে পৌঁছাতে চাইছেননা গ্রাহক। এছাড়াও দালালরা যৌনকর্মীদের মজুরি কম দিয়ে কাজে বাধ্য করে। ধারাবাহিক পুলিশি অভিযান হলে দালালরাজ থেকে তারা মুক্তি পাবেন। তবে পুলিশ সূত্রে খবর ধৃত সাতজন ওই অঞ্চলে জড়ো হয়েছিল ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে পুলিশ খবর পেয়ে এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে। ধৃতদের শুক্রবার আসানসোল আদালতে তোলা হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।