বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেসের পৃথক কর্মী সম্মেলন ঘিরে তোলপাড় রাজনীতি।
সৌমিত্র গাঙ্গুলি, কুলটি, পশ্চিম বর্ধমানঃ- বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের আলাদা করে কর্মী সম্মেলনকে ঘিরে তোলপাড় আসানসোলের রাজনৈতিক মহল। কুলটি বিধানসভায় ফের গোষ্ঠী কোন্দল এলো প্রকাশ্যে। তৃণমূলেরই একটি অংশ কুলটিতে বঞ্চিত তৃণমূলের নাম দিয়ে একটি বেসরকারি প্রেক্ষাগৃহে এই কর্মী সম্মেলন করেন। এদিন বঞ্চিত কর্মী সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কুলটি ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি বিমান আচার্য্য, রাজ্যের প্রাক্তন যুব সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ চ্যাটার্জী, প্রাক্তন কুলটি মিউনিসিপালিটি চেয়ারম্যান বাচ্চু রায়, প্রাক্তন কাউন্সিলার রাজা চ্যাটার্জী সহ ব্লকের প্রাক্তন নেতা সহ কয়েকশো কর্মী সমর্থকরা। পশ্চিম বর্ধমান জেলায় তৃণমূলের এমন একটি বিক্ষুব্ধ অংশের আলাদা করে বঞ্চিত তৃণমূলের নাম দিয়ে সম্মেলন করার বিষয়টি তৃণমূলের অন্তরকলহের চরম দিকটিকেই সামনে নিয়ে এলো।
এদিন কর্মী সম্মেলনে তারা প্রকাশ্যে বলেন, – “এখন কুলটি ব্লকের যারা তৃণমূলের দায়িত্বে আছেন, তারা পুরোনো কর্মীদের কোনো পাত্তা দেয়না, এই কথা জেলার নেতৃত্বদের বলেও কোনো লাভ হয়নি। কোনো মিটিং মিছিলে ডাকা হয়না পুরোনো কর্মীদের। কিছু চোর ডাকাতদের নিয়ে এখন সংগঠন করা হচ্ছে কুলটিতে। এই নীতি মেনে নেওয়া যাবে না। এই কারণে আজ বারবার প্রায় প্রতিটি নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে হারতে হয় কুলটি বিধানসভায়। তারা সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ডাক দেয় আগামী দিনে বঞ্চিত কর্মীদের নিয়ে তৃণমূল ভবন এবং নবান্ন গিয়ে অভিযান করা হবে এবং দলের সুপ্রিমোকে কুলটির এই অবস্থা নিয়ে জানানো হবে।”
অন্যদিকে কুলটিতে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে প্রাক্তন বিধায়ক ও এডিডিএর ভাইস চেয়াম্যান উজ্জ্বল চ্যাটার্জিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এর আগেও একাধিকবার প্রকাশ্যে অনুরোধ করেছি দলে থেকে একসাথে কাজ করার জন্যে; কিন্তু তারা আমার কথা শোনেনি। আমি কারো হাতে পায়ে ধরতে পারবোনা।” এছাড়াও জানান, ব্লক সভাপতি নির্বাচন দলের ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ করে। তিনি করেন না। তিনি নিজে কোনো অসামাজিক ব্যক্তিকে নিয়ে চলেন না। তিনি সাধারণ জনসাধারণের সাথেই থাকেন। জেলার দ্বায়িত্বে তিনি বর্তমানে কাজ করে চলেছেন। যারা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন, তারা সকলেই বিগত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সাথে আঁতাত করেছিল। দলের অভ্যন্তরে তেমনই অভিযোগ আছে।