রক্তাক্ত ভূস্বর্গ–ভেঙে দেওয়া হল সহজ, সরল কাশ্মীরিদের শিরদাঁড়া: ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়।
ডিজিট্যাল ডেস্কঃ- আমি যে কাশ্মীর কে দেখেছি, আমি যে কাশ্মীরকে চিনি, এই কাশ্মীর সেই কাশ্মীর নয়, পহেলগাঁও এর ঘটনায় হতবাক অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়। অভিনেতা বলেন, “কাশ্মীরকে আমি আমার দ্বিতীয় বাড়ি বলে মনে করি। আমার নিয়মিত কাশ্মীর যাই। স্থানীয়দের সঙ্গে খুব ভালোভাবে মিশেছি। ওঁরা পর্যটকদের মাথায় করে রাখে” । এই ঘটনায় আমি সাংঘাতিক ভাবে ডিস্টার্বড…. জানিয়েছেন ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়।
মঙ্গলবারের রক্তপাতের ঘটনা, সাধারণ সরল কাশ্মীরিদের শিরদাঁড়া ভেঙে যাওয়ার ঘটনা। এককথায় রোজগার বন্ধের বন্দোবস্ত। এরকম আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করলে আর কি কেউ কখনো কাশ্মীর যাওয়ার কথা ভাববে? আর পর্যটকের অভাব মানেই পেটে টান পড়া। আর পেটে টান পড়া মানেই আবার বেকার যুবকদের মগজ ধোলাই করে বিপথে চালিত করা। কিছু লোকের বদমাইশির জন্য কাশ্মীর কমিউনিটি শেষ হয়ে গেল —-জানিয়েছেন কাশ্মীর নিয়ে বই লেখক ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়।
বেড়াতে গিয়ে মৃত্যুমিছিল–এইরকম একটা ভয়ংকর পরিস্থিতিতেও তিনি মানবিক কাশ্মীর এর একটা দিক তুলে ধরেন। বহুবার কাশ্মীর যাওয়ার সূত্রে সেখানকার বন্ধুর সংখ্যা ও নেহাত কম নয়। তাদের সাথে যোগাযোগ করে তিনি জানতে পারেন… অন্যায়ভাবে পর্যটকদের গুলি করে মারার প্রতিবাদে মোমবাতি নিয়ে রাস্তায় নেমেছে অনেক কাশ্মীরিরা। পাশাপাশি দোষীদের কঠোর শাস্তির ও দাবি করেছে তারা। আবার অন্যদিকে জম্মু-কাশ্মীরে আটকে থাকা বহু পর্যটককে বিনামূল্যে রেলওয়ে স্টেশন কিংবা এয়ারপোর্টে পৌঁছে দিচ্ছে স্থানীয়রা।