একদা মাওবাদী অধ্যুষিত পিড়াকাটায় বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ।
পশ্চিম মেদিনীপুরঃ- একদা মাও অধ্যুষিত শালবনীর পিড়াকাটায় শুক্রবার বেলা ১২টা নাগাদ কর্মী সম্মেলন করতে উপস্থিত হলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁকে ঘিরে জঙ্গলমহলের কর্ সমর্থকদের উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো। ছিলেন দলের রাজ্য সহ সভাপতি সমিত দাস, জেলা সভাপতি তাপস মিশ্র, সহ সভাপতি অরূপ দাস প্রমুখ।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ জানালেন, সিভিক পুলিশ, সিভিক টিচারের পর দিদিমণি এবার সিভিক চিকিৎসক নিয়োগের কথা বলছেন। কখনও কোনো সমস্যা সৃষ্টি হলেই ওনার মুখে যা আসে বলে দেন! ৫ বছর পড়লে ডাক্তার হয়। উনি তিন বছর পড়িয়ে ডাক্তার করবেন! ওদের কাছে কি তৃণমূলের নেতারা চিকিৎসা করাতে যাবে নাকি? ১০ দিনে নার্স, ৩ বছরে ডাক্তার! যারা প্রতি বছর ডাক্তারি পড়ে বেরোচ্ছেন, তাঁদের টাকার জন্য উনি নিয়োগ করেছেন না! এদিকে গ্রামের লোকের কি জীবনের কোনো দাম নেই নাকি? সিভিক চিকিৎসকদের গ্রামে পাঠাবেন বলছেন!
বাঁকুড়ায় শুভেন্দু’র সভার অনুমতি দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। দিলীপ বললেন, এরাজ্যে ডিএ’র জন্য আদালতে যেতে হয়, নিয়োগের জন্য আদালতে যেতে হয়, ময়নাতদন্তের জন্য আদালতে যেতে হয়, খুন হলে আদালতে যেতে হয়, এমনকি বিরোধীদলের সভার জন্যও আদালতে যেতে হয়। রাজ্য সরকারটা আছে কি জন্য? একটা সভার অনুমতি দিতে পারেনা!
কেরালা স্টোরিতে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বলেন, সারা দেশে ওই সিনেমা চলছে। এরাজ্যে ফতোয়া জারি! মানুষকে তো বিভিন্ন সমস্যার কথা জানতে দিতে হবে! বিজেপি এসবের প্রতিবাদ আগেও করেছে, এখনও করবে।
সর্বোপরি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের দুর্নীতি ও লুটপাটের বিরুদ্ধে মানুষ ভোট দেবে বলে জানান দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, কেন্দ্র থেকে পাঠানো কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেছে তৃণমূল নেতারা। আবাসে দুর্নীতি হয়েছে। মানুষ বঞ্চিত হয়েছেন। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের টাকা লুঠ করেছে তৃণমূল। এর বিরুদ্ধে মানুষ জেগে উঠেছেন, প্রতিবাদ করছেন। রাজ্যের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতিও তীব্র কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ!