প্রত্যন্ত বাংলা ছাত্রছাত্রীদের হাতের নাগালে রোবোটিক্সের মতো সর্বোচ্চ প্রযুক্তির পাঠ।
পশ্চিম মেদিনীপুরঃ- সেই দিন আর হয়তো বেশি দূরে নয়, যখন বাংলার প্রত্যন্ত এলাকার স্কুল কলেজের পড়ুয়ারা নিজেরাই রোবোট তৈরি করবে। তাদের হাত ধরে খুলে যেতে রোবোটিক্সের মতো জটিল এবং অত্যন্ত আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর ক্ষেত্রটির নতুন নতুন সম্ভাবনা। বাংলায় তারই সূচনা হয়ে গেল পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর কলেজে। কলেজ পড়ুয়ারা বিনামূল্যে রোবোটিক্সের মতো বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেল। স্বাভাবিক ভাবেই কলেজ পড়ুয়াদের উৎসাহ ছিল চাঁদের মাটিতে পা রাখার মতোই।
দিল্লি আইআইটি এবং ডিপার্টমেন্ট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনলজির উদ্যোগে ‘আই-হাব ফাউন্ডেশন ফর রোবোটিক্স’তৈরি হয়েছে। যারা ‘নার্চার’ প্রোগ্রাম শুরু করেছে। এই উদ্যোগ ছড়িয়ে পড়ছে ‘টার্গেট ৮৯’ এবং গার্ডিয়ান এডুকেশন সার্ভিসের প্রাইভেট লিমিটেডের মতো চূড়ান্ত পেশাদার ও লক্ষ্যে অবিচল সংস্থার হাত ধরে।
নার্চার প্রোগ্রামে থাকছে রোবটিক্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং, কোডিং এবং অন্যান্য অত্যাধুনিক এবং ভবিষ্যতের প্রযুক্তি। এই প্রোগ্রামে বাংলার বহু স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। ঘুরে যেতে পারে রোবোটিক্সে দেশের ভবিষ্যতও। পাইলট ব্যাচে দুই মেদিনীপুর জেলার কয়েকটি স্কুল কলেজকে বেছে নেওয়া হয়েছে। পরের ধাপে পূর্ব ভারত এবং ভারতের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়বে।
খড়গপুরে ‘টার্গেট ৮৯’-এর ডিরেক্টর ছন্দশ্রী কুন্ডু বলেন, “ভবিষ্যৎ চাকরির বাজারে রোবোটিক্স এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মতো ক্ষেত্রে দক্ষতা সম্পন্ন যুবকদের প্রয়োজন। স্কুল ও কলেজের ছাত্রছাত্রীদের কাছে এই প্রযুক্তি পৌঁছে দেওয়ার পথে দিল্লি আইআইটি এবং ‘আইএইচএফসি’-এর সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমরা গর্বিত। আমরা আন্তরিক ভাবে বিশ্বাস করি, এই উদ্যোগ ভবিষ্যতে রোবোটিক্সের দিকে এই পড়ুয়াদের এগিয়ে যাওয়ার পথে আরও উৎসাহ দেবে”।
খড়্গপুর কলেজের অধ্যক্ষ ডক্টর বিদ্যুৎ সামন্ত বলেন, “এট অত্যন্ত আনন্দের যে আমাদের খড়্গপুর কলেজের পড়ুয়াদের জন্য রোবোটিক্সের মতো এমন উন্নত প্রযুক্তি নিয়ে তৈরি ‘নার্চার’ প্রোগ্রাম আয়োজন করতে পেরে। তাও আবার যে দিন চন্দ্রযান ৩ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করছে। আমার বিশ্বাস আমাদের পড়ুয়ারাও জীবনে নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছতে আরও একটি নতুন পথের খোঁজ পাবে। খড়গপুর কলেজ এই উদ্যোগের আয়োজন করার জন্য আই-হাব ফাউন্ডেশন ফর কোবোটিক্স, আইআইটি দিল্লি, জিইএসপিএল এবং ‘টার্গেট ৮৯’-র কাছে আমরা ঋণী”।