ভোট পরবর্তী হিংসা? তৃনমূলের পার্টি অফিস জ্বলল দাউ দাউ করে।
পশ্চিম মেদিনীপুরঃ- ভোট পরবর্তী হিংসার আবহেই এবার তৃণমূলের পার্টি অফিসে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে! ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকের ৬ নম্বর জলিমন্দা অঞ্চলের রঘুনাথপুর এলাকায়। জানা যায়, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে (প্রায় ১.৩০ নাগাদ) হঠাৎই পার্টি অফিস থেকে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে উঠতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পার্টি অফিসটি জনবসতি পূর্ণ এলাকায়। অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় পাশে থাকা কয়েকটি দোকান এবং বসত বাড়ি। ঘটনা ঘিরে গতকাল রাত থেকেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অনুমান পার্টি অফিসে আগুন লাগার ঘটনায় স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতীর হাত রয়েছে। ইতিমধ্যেই স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে ডেবরা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, ভেতরে থাকা বহু সামগ্রী পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পর পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে ডেবরা থানার পুলিশ।
এদিকে, ভোটের ফলাফল ঘোষণার কয়েকদিনের মধ্যেই ডেবরায় তৃণমূলের পার্টি অফিসে আগুন লাগার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এ প্রসঙ্গে এও উল্লেখ্য যে, ডেবরা ব্লকের পাঁচটি অঞ্চল ত্রিশঙ্কু অবস্থায় আছে। এবারের নির্বাচনে, তৃণমূলের বিপুল সাফল্যের মাঝেও হেরে গিয়েছেন ডেবরা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের বর্তমান সভাপতি বিবেকানন্দ মুখার্জি। হেরেছেন ২০১১ সালের ডেবরা ব্লকের সভাপতি তথা বর্তমান বিজেপি নেতা রতন দে মন্ডলের কাছে। অন্যদিকে, দলে টিকিট না পাওয়ায় রাধামোহনপুর থেকে নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি অলোক আচার্য। তিনিও হেরেছেন ওই অঞ্চলে। হেরেছেন ব্লকের সহ সভাপতি অনুপম দাস। অপরদিকে, ডেবরাতে টিকিট না পাওয়ায় নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়ে ছিলেন জেলা পরিষদের বিদায়ী খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ কণিকা মান্ডি। তিনিও হেরে গিয়েছেন! দলের টিকিট না পাওয়ায় নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়ে ছিলেন ডেবরা পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি মৌসুমি মুড়া। হেরেছেন তিনিও। ফলে, এই আগুন লাগার সঙ্গে শাসকদলের কোনো গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বা রাজনৈতিক যোগ আছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে