তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা যেভাবে আজ ঝান্ডা নিয়ে ঠাকুরবাড়ির দখল নিতে গিয়েছিল তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। হাওড়ায় বললেন শুভেন্দু।
হাওড়াঃ- তৃণমূল কর্মীরা যেভাবে মতুয়াদের মন্দিরে ঝাণ্ডা নিয়ে ঢুকে জোর করে ঠাকুরবাড়ির দখল নিতে গিয়েছিল তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। বললেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার সন্ধ্যায় হাওড়ায় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এর আগে দেশের প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী কেউ মতুয়াদের কাছে যাননি। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গিয়েছিলেন। কিন্তু বিজেপি কখনোই সেখানে ঝাণ্ডা নিয়ে প্রবেশ করেনি। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা এদিন ঝান্ডা নিয়ে যেভাবে ঠাকুরবাড়ি দখল করতে গেল তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। তিনি বলেন, মন্দিরে প্রবেশ করার আগে তাদের ঠাকুরবাড়ি থেকে লিখিত অনুমোদন নেওয়া উচিত ছিল। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, একজন লোকসভার সংসদের গায়ে হাত তোলা হয়েছে তার কি পরিণতি তা পুলিশ বুঝতে পারবে। অন্যদিকে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে শান্তনু ঠাকুরকে নির্বাচনে হারিয়ে দেবে বলে মন্তব্য করেছেন এ ব্যাপারে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, উনি আজ পর্যন্ত যাকে যাকে হারিয়ে দেবে বলেছেন সকলেই জিতেছেন। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, সাগরদিঘির মতো যদি পঞ্চায়েত ভোট হয় তাহলে তৃণমূল কংগ্রেসকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। তিনি বলেন, আগের দিন হাওড়া জেলা হাসপাতালে গিয়েছিলেন। খুবই খারাপ অবস্থা। পুতিগন্ধময় চারিদিক।পরিকাঠামো নেই। অথচ একটা সাংসদের জন্য রাজ্যের কোষাগার থেকে প্রতিদিন পরিবহন এবং স্যানিটাইজেশনের কাজে এক কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস তৃতীয় স্থানে থাকবে। মূল লড়াই হবে বিজেপির সঙ্গে নওশাদ সিদ্দিকীর। শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, প্রায় ৬ সপ্তাহ ১৪৪ ধারা জারি করে রাখা হয়েছিল। সেই সময় আসতে চাইলেও আসা সম্ভব হয়নি। হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে এদিন সভা করা হচ্ছে। হাওড়া কনিশনারেট তোষনের রাজনীতিকে বিশ্বাস করে। হাইকোর্টে হিয়ারিংয়ের সময় সরকারি আইনজীবীরা জিজ্ঞাসা করছিল সভায় কে কে আসবে, কি কি বক্তব্য রাখবে। এটা অন্য কোন সংগঠনের ক্ষেত্রে জিজ্ঞাসা করা হয়না। সনাতনীদের ক্ষেত্রে জিজ্ঞাসা করা হয়। সরকার তোষণ কোন পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে। ভোটের জন্য এপিজিনেটিক পলিটিক্স করা হচ্ছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের ৮০ শতাংশ মুসলিম। পেটে ভাত দেয়নি, হাতে কাজ দেয়নি, শুধু বিজেপি জুজু আর গেরুয়া ঝান্ডা আর এনআরসির ভয় দেখিয়ে ওরা ভোটব্যাঙ্কে পরিণত করে রেখেছে। ঠাকুরবাড়ি প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ওই মন্দির ট্রাস্টির মন্দির। উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়), ভাইপো গোটা পশ্চিমবঙ্গকে মনে করেন নিজের পরিবারের জাইগীরদার। ঠাকুরবাড়ির মন্দির সেখানে প্রবেশ করতে গেলে চিঠি দিয়ে অনুমতি নেওয়া উচিৎ ছিল। অনুমতি চাইলে তাঁরা দিতেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ দলের উচ্চ নেতৃত্ব সেখানে গিয়েছেন। সেখানে গেলে ঝান্ডা নিয়ে যাননি তাঁরা। আজ তৃণমূলের লোকেরা সেখানে ঝান্ডা নিয়ে গিয়ে গায়ের জোরে ঠাকুরবাড়িকে দখল করতে চেয়েছেন। এটা অত্যন্ত নিন্দনীয়। ওখানে যুবরাজ প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর সাথে সাথে বলেছেন প্রতি ৩ মাস অন্তর এখানে আসবেন। উনি সব জায়গায় তা বলেন। উনি বলেছেন শান্তনু ঠাকুরকে তিনি ভোটে হারিয়ে দেবেন। উনি যাকেই ভোটে হারাবেন বলেছেন তিনিই জিতেছেন। উনি সৌমিত্র খানকে বলেছিলেন লোকসভা ভোট তো দুরের কথা ১টা বুথে জিতলে রাআজনীতি ছেড়ে দেবেন। সৌমিত্র ২ লক্ষ ভোটে জিতেছিলেন কিন্তু ভাইপো রাজনীতি ছাড়েন নি। তৃণমূলের সব ল্যাম্পপোস্ট। একটাই পোস্ট, ১৪ তলায় বসে আছে আর কবে প্রধানমন্ত্রী হবে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর গায়ে হাত দিয়েছে। যা যা করার তা করা হবে। ওখানকার পুলিশ তৈরি থাকুন। লোকসভার সদস্যের গায়ে হাত দিলে কি হয় তা দলদাস আইপিএস অফিসাররা বুঝতে পারবে।