পঞ্চায়েত ভোটের আগে হাওড়ায় তৃণমূলের মহিলা কর্মীর বাড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগ। উত্তেজনা ডোমজুড়ে।
হাওড়াঃ- পঞ্চায়েত ভোটের আগে এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য। শুক্রবার ভোররাতে ঘটনাটি ঘটে ডোমজুড়ের সলপ তেঁতুলকুলি এলাকায়। এই নিয়ে রাজ্যের শাসক এবং বিরোধীদের মধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। জানা গেছে, ভোররাত সাড়ে ৩টে নাগাদ ডোমজুড়ের তেঁতুলকুলি এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী মৌমিতা প্রামাণিকের বাড়িতে কে বা কারাও আগুন ধরিয়ে দেয়। তিনি আগে বিজেপি করলেও এখন তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। মৌমিতার দাবি, তিনি সক্রিয়ভাবে তৃণমূল কংগ্রেস করেন। তাঁর বাড়িতে তৃণমূলের ব্যানার লাগানো ছিল। গতকাল রাতে কে বা কারাও তাতে আগুন লাগিয়ে দেয়। পুড়ে যায় ঘরের দরমার দেওয়াল। তার ঘুম ভেঙ্গে গেলে দেখেন দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। বাড়ির দাওয়ায় শুয়ে ছিলেন তাঁর শাশুড়ি। এরপর পরিবারের সকলে মিলে জল ঢেলে আগুন নেভায়। খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ডোমজুড় থানার পুলিশ। তারা গোটা ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে। মৌমিতার অভিযোগ এই ঘটনার পিছনে বিরোধী দলের লোকেরাই যুক্ত। তাঁকে ভয় দেখানোর জন্যই এই ঘটনা। এদিন সকালে মৌমিতার বাড়িতে যান ডোমজুড়ের বিধায়ক এবং হাওড়া জেলা সদর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কল্যাণ ঘোষ। তাঁর অভিযোগ মৌমিতা সক্রিয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। প্রত্যেক মিটিং মিছিলে যান। সলপ এলাকায় বিরোধী রাজনৈতিক দলের মাটি সরে যাওয়ায় তারা এই কাজ করেছে।
তিনি পুলিশকে বলবেন গোটা ঘটনার তদন্ত করতে। এদিকে এই নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধী বিজেপি এবং সিপিএম। বিজেপি নেতা জয়ন্ত দাস বলেন, আমাদের দলের জানা নেই ওই বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন কিনা। গত বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে সলপ এক নম্বর এলাকায় পাঁচ হাজারের বেশি ভোটে বিজেপি এগিয়েছিল। এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে হয়েছে। তার পাল্টা অভিযোগ এবারে ভোটের আগে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা ভয় দেখিয়ে প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করিয়েছে। আর যেগুলোতে লড়াই হচ্ছে সেখানে এই ধরনের গল্প ফেঁদে বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে। প্রশাসন তদন্ত করুক এর পিছনে কোন ষড়যন্ত্র আছে কিনা। সিপিএমের হাওড়া জেলা কমিটির সদস্য উত্তম বেরা জানিয়েছেন, তারা এই ধরনের রাজনীতি করেন না। কে তৃণমূল আর কে বিজেপি বোঝা মুশকিল। ওদের দুটো দরজা থাকে। একটা দরজা দিয়ে ঢোকা অন্য দরজা দিয়ে বেরোনো। তাই আমরা ওদের বিজেমূল বলি। আসলে বামপন্থীদের শক্তি কমানোর জন্য মোদি এবং দিদির মধ্যে বোঝাপড়া। আর ওদের আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জন্যেই এই ঘটনা। গোটা রাজ্যে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে সলপ এর ব্যতিক্রম নয়।