একগুচ্ছ দাবীতে কুড়মি সম্প্রদায়ের “ঘাঘর ঘেরা” কর্মসূচী ও হুড়কা জ্যাম।
পশ্চিম মেদিনীপুরঃ- আন্দোলন শুরু হয়েছিল ১ এপ্রিল থেকে। কুড়মিদের ST তালিকাভুক্ত করা তথা CRI জাস্টিফিকেশন রিপোর্ট কেন্দ্রের কাছে পাঠানোর দাবিতে ‘ঘাঘর ঘেরা’কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল কুড়মিদের যৌথ মঞ্চ ‘ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটির তরফে। অনড় কুড়মিরা ৫ এপ্রিল থেকে খেমাশুলিতে জাতীয় সড়ক ও রেলপথ অবরোধও শুরু করেছিলেন ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসের মতোই। তবে, রাজ্যের মুখ্য সচিবের তরফে আলোচনার আশ্বাস দেওয়ার পর ৯ এপ্রিল উঠে যায় পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলি ও পুরুলিয়ার কুস্তাউরের আন্দোলন। তবে, আলোচনায় একেবারেই সন্তুষ্ট নন কুড়মিরা। আজ, বুধবার (২৬ এপ্রিল) ফের ‘ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটি’র ডাকে পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া সহ জঙ্গলমহল জুড়ে ১২ ঘন্টার (সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা) ‘হুড়কা জ্যাম বা সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
তবে, কুড়মি নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়েছে, আজকের সাধারণ ধর্মঘটে রেলপথ ও জাতীয় সড়ক সচল থাকবে। একইসঙ্গে, অ্যাম্বুলেন্স সহ সমস্ত ধরনের জরুরি পরিষেবাকেও ছাড় দেওয়া হচ্ছে এই ধর্মঘটে। মূলত, জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে প্রতিটি রাজ্য সড়ক সহ দোকানপাট, স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত বন্ধ রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, জঙ্গল অধ্যুষিত তথা কুড়মি প্রভাবিত এলাকাগুলোতে ধর্মঘটের ভালো প্রভাব পড়েছে। তাছাড়াও, রাজ্য সড়ক অবরোধের কারণে যানবাহন চলাচলেও ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। মেদিনীপুর সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ড থেকে লালগড়, গোয়ালতোড়, ঝাড়গ্রাম সহ বিভিন্ন রুটের বাস চলাচল সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি (৬-টা পর্যন্ত) কার্যত বন্ধ থাকবে বলেই সূত্রের খবর। এদিকে, আজকের ধর্মঘট ঘিরে পুলিশ প্রশাসনেও তৎপরতা শুরু হয়েছে।