তবে কি যুদ্ধের দামামা! মিডিয়াদের জন্য জারি হল বিশেষ অ্যাডভাইসরি।

ডিজিট্যাল ডেস্কঃ- তবে কি যুদ্ধের দামামা বেজেই গেলো? কাশ্মীরের পাহেলগাঁও এ পাকিস্থানপন্থী জঙ্গী গোষ্ঠীর নিরীহ হিন্দু পর্যটকদের উপর নারকীয় হত্যালীলার পর সারা দেশ থেকেই প্রতিবাদের আওয়াজ উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও চরম প্রত্যাঘাতের বার্তা দিয়েছিলেন। দেশের অভ্যন্তরে সেনা বাহিনীর তিন প্রধানের বৈঠক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, বিদেশ মন্ত্রকের তৎপরতা সবকিছুই বলে দিচ্ছিল চরম প্রত্যাঘাত নেমে আসবে পাকিস্থানের উপর।

সেই মতো জম্মু ও কাশ্মীরের বাড়ী বাড়ী তল্লাশী চালিয়ে নিকেশ করা হয়েছে বেশ কয়েকজন জঙ্গী নেতাকে।

এবার মনে হচ্ছে যুদ্ধের দামামা বেজেই গেলো। অন্তত বর্তমান সরকারী কার্যক্রম ও গতিপ্রকৃতি সেই দিকেই দিক নির্দেশ করে। আজ ২৬শে এপ্রিল শাস্ত্রী ভবন থেকে জারি করা হয়েছে দুই পাতার এক বিশেষ অ্যাডভাইসরি। সেই  অ্যাডভাইসরি নোটে টিভি চ্যানেল থেকে ডিজিট্যাল মিডিয়া, প্রেস মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক নজরে কোন কোন কাজ এই মুহূর্তে মিডিয়াতে করা যাবে না –

১. সকল মিডিয়াকে সম্পূর্ণ দায়বদ্ধতা ও জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে।

২. কোন “রিয়েলটাইম কভারেজ” কিম্বা “সুত্র মারফৎ” পাওয়া খবরের ভিত্তিতে প্রতিরক্ষা ও সেনা মোতায়েন ও অপারেশনের খবর দেখানো যাবে না।

৩. এ বিষয়ে জাতীয় সুরক্ষার বিষয়টি নজরে রেখে কার্গিল যুদ্ধ, মুম্বাই হামলা(২৬/১১), কান্দাহার হাইজ্যাক এর নিদর্শন স্মরন করিয়ে দেওয়া হয়েছে।

৪. মিডিয়া দেশের সুরক্ষার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে বলা হয়েছে।

৫. কোন মিডিয়াতেই আতঙ্কবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াইএর লাইভ কভারেজ দেখানো যাবে না। সেই অপারেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের মিডিয়া ব্রিফিং এর আগে পর্যন্ত কোন অপারেশনের খবর দেখানো হবে না।

দেশের সুরক্ষার সার্থে এরকম একগুচ্ছ নির্দেশ জারি করা হয়েছে। এই নির্দেশ অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *