লাল-হলুদ-গেরুয়া এড়িয়ে অন্য রঙের আবিরে ঝোঁক।
মুর্শিদাবাদ : রং দিয়ে যেন না যায় চেনা— দোলের আবির কিনতে গিয়ে কার্যত এমনই মনোভাব অনেক বাসিন্দার। ভোটের মরসুমে রাজনীতির রং যাতে গায়ে না লাগে, সে নিয়ে সতর্ক সাধারণ নাগরিকদের অনেকে। তাই লাল, সবুজ বা গেরুয়ার পরিবর্তে অন্য রঙের দিকে ঝুঁকেছেন তাঁরা। তবে রাজনৈতিক দলগুলির নেতা-কর্মীরা দলের রঙের আবিরই কিনছেন বলে জানান তাঁরা।ছোট-বড় বাজারে আবিরের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। কিনতে ভিড় জমছে। বিক্রেতাদের দাবি, ক্রেতাদের অনেকেই এ বার আবিরের রং নিয়ে খুব সাবধানি। লাল, সবুজ বা গেরুয়ার মতো যে সব রং বিশেষ রাজনৈতিক দলের ছাপ বহন করে, সেগুলি কেনায় খানিক অনীহা দেখা যাচ্ছে তাঁদের। বরং, তাঁরা মজেছেন হলুদ, বেগুনি, হালকা গোলাপি বা আকাশি রঙের আবির কেনায়।বহরমপুর বাজারে এক দল যুবক বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের সম্পর্কযুক্ত রং দিয়ে খেলতে চাই না।’’ বহরমপুর কাশিমবাজার ত্রিনয়নী নৃত্য একাডেমীর শিক্ষিকা অ্যানি দে বলেন, ‘‘আবিরের রঙে এ বার কিছু পরিবর্তন এনেছি। লাল-সবুজ-গেরুয়া ছাড়া আলাদা রঙের আবিরে রং খেলা হবে।’’ এক স্কুলের শিক্ষিকার কথায় , ‘‘এ বার আমার পছন্দ হলুদ আবির।’’বাজারের আবির বিক্রেতা আনসার সেখ, সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়রা বলেন, এ বার বেশি বিকোচ্ছে হলুদ আবির। তার পরে বেগুনি ও আকাশি রঙের আবির কিনছেন ক্রেতারা।
রাজনৈতিক দলগুলির নেতা-কর্মীরা অবশ্য জানান, তাঁরা নিজেদের দলের রঙের আবির কিনছেন। এখন আবিরের ভাল জোগান থাকায় মজুতও করে রাখছেন।বিজেপির জেলার নেতারা বলেন, ‘‘আমরা গেরুয়া আবিরেই দোল খেলব। ভোটে আমরাই জিতব, তাই আবির মজুতও করে রাখব।’’ ভোটের ফল কী হবে, তা নিয়ে ভাবছেন না সিপিএমের জেলার নেতৃত্বরা বলেন, ‘‘লাল আবিরই বেশি পছন্দের। কিন্তু অন্য রঙের আবির নিয়েও ছুতমার্গ নেই।’’ তৃণমূলের কর্মীও সমর্থকরা বলেন, ‘‘আমাদের প্রথম পছন্দ সবুজ আবির। দলের বিজয় মিছিলই হোক বা অন্য কোনও অনুষ্ঠান, সবেই সবুজ আবির খেলা হয়। তবে এখন নীল রঙের আবিরও বাজার মাতাচ্ছে। সেটাও এ বার খেলা হবে।