উদ্বোধনের মাত্র চার মাসেই হাওড়ায় পৌর সু-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বেহাল দশা, খবরই নেই পুরনিগমের কাছে; হেলদোল নেই কারও।

হাওড়াঃ- উদ্বোধনের মাত্র চার মাসের মধ্যেই হাওড়ায় পৌর সু-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বেহাল দশা। অথচ সেই খবর নেই খোদ পুরনিগমের কাছেই। এনিয়ে উদ্যোগ নেওয়া তো দূর অস্ত হেলদোলই নেই কারও। চার মাস আগে উদ্বোধন হওয়া হাওড়া পুরনিগমের স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিণত হয়েছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে। অভিযোগ, বাইরে মদের ঠেক চলছে। আর এদের আতঙ্কে দুপুরেই তালা ঝুলিয়ে চম্পট দিয়েছেন চিকিৎসক। এমতাবস্থায় রোগীদের এসে ফিরে যেতে হচ্ছে বলেও দাবি উঠেছে। আরও স্বাস্থ্য কেন্দ্র জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মদের বোতল থেকে স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া কাফ সিরাপের শিশি। খোদ চিকিৎসকই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ।

নেই কোনও নিরাপত্তারক্ষীও। এখানে নেই কোনও সরকারি স্টাফ। হাওড়া পুরনিগমের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের নিত্যধন মুখার্জী লেনের শহুরে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এমন বেহাল পরিস্থিতি দেখে রীতিমতো আঁতকে উঠতে হবে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দামি দামি যন্ত্রাংশ এখন ধুলো পড়ে নষ্ট হতে বসার উপক্রম হয়েছে। চিকিৎসক ছাড়াও তিন থেকে চার জন কর্মী থাকার কথা থাকলেও দেখা মেলেনা কারও। এমনকি স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিষ্কারের দায়িত্ব পুরসভার সাফাই কর্মীদের উপর থাকলেও শেষ কবে পরিষ্কার হয়েছে তা জানেননা কেউই। স্থানীয়দের অভিযোগ বাইরে থেকে মদ্যপ  যুবকরা এসে আস্তানা গড়ে সেখানেই। এমনকি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের গেট চুরি করে নিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। ইতিমধ্যেই ভেঙেও ফেলেছে তার বেশ কিছুটা অংশ। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিয়ে কিছুই জানেন না হাওড়া পুরনিগমের মুখ্য প্রশাসক ডা: সুজয় চক্রবর্তী।

একাধিক নার্সিং স্টাফ চাকরি ছেড়ে দেওয়ায় সমস্যা আরও বেড়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে নার্সিং স্টাফ বাড়িয়ে সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানান মুখ্য প্রশাসক। স্থানীয়দের দাবি প্রশাসনের আরও অনেক বেশি দায়িত্ববান সক্রিয় হওয়া উচিৎ। আদৌ কি ফিরবে সু-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এই হাল? সেই প্রশ্নই এখন সাধারণ মানুষের। এদিকে, অভিযোগ পেয়েই বৃহস্পতিবার ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান মুখ্য প্রশাসক ডা: সুজয় চক্রবর্তী। তিনি মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *