আগামী মাস দেড়েকের মধ্যেই হাওড়ার প্রত্যেক স্কুলে পৌঁছাবে পড়ুয়াদের পোশাক। কাজে নেমেছেন SHG মহিলারা।

হাওড়াঃ- আগামী মাস দেড়েকের মধ্যেই হাওড়ার প্রত্যেক স্কুলে পৌঁছাবে পড়ুয়াদের দু সেট করে নতুন পোশাক। রাজ্য সরকারের বরাত আসার পরেই কাজে নেমে পড়েছেন সেল্ফ হেল্প গ্রুপের মহিলারা। এবার মোট ১ লক্ষ ৭০ হাজার স্কুল পোশাকের বরাত এসেছে হাওড়ায়। এই পোশাক তৈরি করবেন হাওড়া জেলার বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। আগামী মাস দেড়েকের মধ্যেই দু সেট করে পোশাক পড়ুয়াদের কাছে স্কুলের মারফত পৌঁছে দেওয়া হবে। মঙ্গলবার এই নিয়ে হাওড়া পুরনিগমের ট্রেনিং কাম প্রোডাকশন সেন্টার পরিদর্শন করেন পুর প্রশাসকমন্ডলীর ভাইস চেয়ারপার্সন সৈকত চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি দল। এবিষয়ে এদিন সৈকত চৌধুরী বলেন, উত্তর হাওড়ার সালকিয়াতে পুরনিগমের যে ট্রেনিং কাম প্রোডাকশন সেন্টার রয়েছে মঙ্গলবার আমরা হাওড়া পুরনিগমের NULM দপ্তরের তরফ থেকে সেখানে পরিদর্শন করেছি। আমাদের সকলের প্রিয় মুখ্যমন্ত্রী বাংলার প্রতিটা স্কুলে যে পোশাক সরবরাহ করেন হাওড়া পুরনিগমের অন্তর্গত প্রতিটা স্কুলে পোশাক ডেলিভারি দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের  ওপর এসেছে। গত বছরেও এসেছিল। এই বছরেও এসেছে। সর্বমোট আমরা এই বছর এক লক্ষ সত্তর হাজার পোশাক বানিয়ে যত স্কুল এখানে আছে আর তাদেরকে দুটো করে সেট দেওয়া হবে। প্রত্যেক ছাত্রদের দুটো করে সেট দেওয়া হবে। সেই হিসেবে আজকে আমরা ওই সেন্টারে ভিজিট করলাম। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মেয়েদেরই এই অর্ডার দেওয়া হয়।

হাওড়া পৌরনিগমের অন্তর্গত যেসব স্বনির্ভর গোষ্ঠী আছে পোশাক তৈরির ৭০ শতাংশ কাজের বরাত তারা পেয়েছেন। বাকি পোশাক তৈরির অর্ডার শহরতলির গ্রুপগুলোকে দেওয়া হয়েছে। এইভাবে আমরা এই পোশাকগুলো বানানোর চেষ্টা করছি। উলুবেড়িয়া অঞ্চলে যারা রয়েছেন  মালগুলো কাটিং করে মাল মেটেরিয়ালগুলো তারা নিয়ে যাবেন এবং ড্রেসগুলো তৈরি করে আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে মে মাস নাগাদ আমরা সেই পোশাক স্কুলগুলোতে সরবরাহ করতে পারব। এটা মাননীয়া মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রজেক্ট। হাওড়া পৌরনিগম গত বছর সাকসেসফুলি এই প্রজেক্টটা করতে পেরেছিল। এই বছরও আশা করি আমরা করতে পারব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *