উলটপুরান হাওড়ায়; অভিষেকের হাওড়ার জনজোয়ার কর্মসূচিতে বিজেপি’র তদারকি?
হাওড়াঃ- রাজ্যে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক রেষারেষির মধ্যেই দেখা গেল এমন উলট পুরান। হাওড়ার ডোমজুড় ব্লক ও জগৎবলভপুর বিধানসভা এলাকার আজাদ কলেজের মাঠে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের জনজোয়ার কর্মসূচি প্রস্তুতির তদারকি করতে দেখা গেল স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বকে। এমনই অকল্পনীয় ও নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে হাওড়ার জগৎবলভপুর ব্লকে। ওইখানেই রয়েছে ক্যাম্প ও জনজোয়ার কর্মসূচির মাধ্যমে পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছাইয়ের ভোটাভূটি। জনজোয়ার কর্মসূচিতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তির ঘটনাগুলোতে বিজেপির মদত রয়েছে বলেই বারবার শাসকদলের নেতারা অভিযোগ তুলেছেন। ঠিক সেখানেই শাসক দলের দলীয় কর্মসূচিতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন জগৎবল্লভপুর ব্লকের বিজেপি নেতৃত্ব। ঘটনাটিকে রাজনৈতিক সৌহাদ্য সহযোগিতা বলেই দাবি করেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও একে দল বদলের ইঙ্গিত বলেই মন্তব্য স্থানীয় শাসক দলের।
বিজেপির জগৎবল্লভপুর তিন নম্বর মন্ডলের সভাপতি সৈকত দেব দাবি করেন এই এলাকা ২০১৮ সাল থেকে বিজেপির শক্ত ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে। এখানকার সবকটি বুথে বিজেপি জয়ী হয়েছে। এমনকি যে মাঠে সভা অনুষ্ঠিত হবে সেই মাঠের মালিকেরাও বিজেপির পদাধিকারী। তাই এটা তাঁদের নৈতিক কর্তব্য বলেই মনে করছেন তারা।
ডোমজুড় ব্লক এলাকাতেও যাতে শান্তি বজায় থাকে তারই আগাম বার্তা এভাবেই শুক্রবার বিজেপির পক্ষ থেকে দেওয়া হয়। তিনি আরও দাবি করেন তারা চান রাজ্যে শান্তি বজায় থাকুক ও সব রাজনৈতিক দল তাঁদের কর্মসূচি পালন করুক। যদিও তিনি জানান এই অনুষ্ঠানের জন্য কোনও লিখিত অনুমতি তাদের থেকে নেওয়া হয়নি। তবু তারা মৌখিক সম্মতি জানিয়েছেন। বিধানসভা নির্বাচনের সময়েও এই মাঠেই মুখ্যমন্ত্রীর জন্য হেলিপ্যাড বানানো হয়েছিল। তারা কোনও আপত্তি করেনি। শুক্রবার দিন তারা মাঠ পরিদর্শন করে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এদিকে, যদিও এই বিষয়টিকে সৌজন্য বলতে অস্বীকার করেছে শাসক দলের স্থানীয় নেতৃত্ব। জগৎবল্লভপুর ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি সুবীর চ্যাটার্জী দাবি করেন এটা সৌজন্যতা নয় বরং বিজেপি সহ রাজ্যের সব বিরোধী দল বুঝতে পেরেছে শুধু জগৎবল্লভপুর নয় সারা বাংলার মাটি অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে স্বাগত জানাবে। যেভাবে জনজোয়ার কর্মসূচি রাজ্যে জনপ্লাবনে পরিণত হয়েছে তাঁর থেকে বোঝা যাচ্ছে আগামীদিনে দেশের রাজনীতিতে রাজ্যের রাজনীতিতে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবেন। তাই সেটাই তারা উপলব্ধি করতে পারছে।