শিশু শ্রম বিরোধী প্রচার শিবির শুক্রবার থেকে হাওড়া স্টেশনে শুরু হলো।
হাওড়াঃ- শিশু শ্রম বিরোধী প্রচার শিবির শুক্রবার থেকে শুরু হলো। আগামী ৯ জুন পর্যন্ত চলবে এই সচেতনতা শিবির। এই শিবির চলবে রাজ্যের বিভিন্ন রেল ষ্টেশনেও। এদিন হাওড়া ষ্টেষনে প্রথম প্রচার কর্মসূচির সূচনা হয়। মূলত যে সমস্ত বাচ্চারা বাড়ি থেকে পালিয়ে আসে তাদের উদ্ধার করে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় এবং বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় এমনই জানান রাজ্য সরকারের মহিলা ও শিশু উদ্ধার বিভাগের ডিরেক্টর অনন্যা চক্রবর্তী। এদিন তিনি হাওড়া ষ্টেশনে হারিয়ে যাওয়া শিশুদের নিয়ে একটি নাটক উপস্থাপনা করেন। তিনি বলেন, কিছু অসাধু লোক এই সব বাচ্চাদের দিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করায়। এই ভিক্ষা দেওয়া ও নেওয়া দুটিই অপরাধ। এই নাটকে ভিক্ষাবৃত্তি ছাড়াও ডেনড্রাইট দ্ধারা নেশাগ্রস্ত হওয়া ও শিশু শ্রম হইতে সচেতন করা হয় শিশুদের। সারা রাজ্য জুড়ে আজ আমাদের শিশু শ্রমিক বিরোধী প্রচার শুরু হয়েছে। মুলত রেলওয়ে প্ল্যাটফর্ম সহ হটস্পট জোন যেখানে এই সকল শিশুরা থাকে বা এখানে ছেড়ে দিয়ে যায় এই সকল জায়গায় নজরদারি থাকে। আমাদের ক্যাম্পেন হাওড়া স্টেশন, শিয়ালদহ, নিউ আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, মালদহ খড়গপুর, আসানসোলের মতো যে সব স্টেশনে বাচ্চাদের পাওয়া যায় সেখানে আমাদের সচেতনতা শিবির করা হচ্ছে।
শিশুদের ডেনড্রাইট দিয়ে নেশা করার প্রবণতাকে আটকানোর চেষ্টা করা হয়। যেহেতু ডেনড্রাইট পাওয়া অত্যন্ত সহজলভ্য সেহেতু এই প্রবণতা আটকানো সহজ নয়। সচেতনতার মাধ্যমে বাচ্চাদের বুঝিয়ে কাউন্সিলিং করে আমরা চেষ্টা করি ডেনড্রাইট নেওয়া বন্ধ করতে। প্রতি বছর হাজার হাজার বাচ্চা বিভিন্ন কারণে আসে। তাদের উদ্ধার করা, তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। আবার তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয় বাড়িতে। ভিক্ষাবৃত্তি সব জায়গাতেই হয়ে থাকে। কিছু দুষ্কৃতিদের চক্র বাচ্চাদের নিয়ে গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করায়। এটা দন্ডনীয় অপরাধ। এর পাশাপাশি ভিক্ষা দেওয়াও দন্ডনীয় অপরাধ। সেই ব্যাপারে সচেতন করা হচ্ছে। ডন বস্কো অ্যাসাইলামের ডিরেক্টর জর্জ সি জে জানান, রাজ্য, জেলা সকলে মিলে বাচ্চাদের সাহায্য করা যেতে পারে। আমরা এখানে ১৯৯৫ সাল থেকে কাজ করছি। প্রায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার বাচ্চাকে সাহায্য করা হয়েছে। এদিনের অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য সমাজকে জানানো যে শিশুদের সাহায্য করতে হবে।