হাওড়ার কমিশনারেট এলাকার সব পূজো কমিটিগুলোকে নিয়ে “ফোরাম ফর দুর্গোৎসব, হাওড়া” তৈরি করা হলো।
হাওড়াঃ- হাওড়ার কমিশনারেট এলাকার সব পূজো কমিটিগুলোকে নিয়ে “ফোরাম ফর দুর্গোৎসব, হাওড়া” তৈরি করা হলো। ওই নবগঠিত ফোরামের তরফ থেকে রবিবার সকালে হাওড়ার শরৎ সদনে আসন্ন দুর্গোৎসব উপলক্ষে এক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। ওই বৈঠকে পৌরোহিত্য করেন রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী তথা ফোরামের আহ্বায়ক অরূপ রায়। উপস্থিত ছিলেন বেলুড় মঠের স্বামী মুক্তেশানন্দজি মহারাজ, হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল রাজকুমার শর্বরী, পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ডা: সুজয় চক্রবর্তী, বিধায়ক প্রিয়া পাল, কল্যাণ ঘোষ, গৌতম চৌধুরী, এডিএম পঞ্চায়েত সৌমেন পাল, সত্যব্রত সামন্ত, শ্যামল মিত্র, ভাস্কর ভট্টাচার্য, সুশোভন চট্টোপাধ্যায়, অরূপেশ ভট্টাচার্য সহ অন্যান্যরা। এই বৈঠকে হাওড়া শহরের বিভিন্ন পুজো কমিটিগুলির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এদিন থেকেই এই ফোরাম আনুষ্ঠানিকভাবে পথচলা শুরু করলো। এদিন হাওড়া কমিশনারেট এলাকার মোট ১,৩৩২টি পুজো কমিটির মধ্যে প্রায় ৯০০র বেশি পুজো কমিটি অংশ নিয়েছিল বলে ফোরামের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
এদিন পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অরূপ রায় বলেন, একতাই বল। হাওড়ার রেজিস্ট্রার্ড দূর্গা পুজোগুলো ঐক্যবদ্ধ করে আগামী দিনে আমরা এগিয়ে যাব। এদের নিয়ে একটা ফোরাম তৈরি হয়েছে। ফোরামের লক্ষ্য হাওড়া পুজোর ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। ইউনেস্কো কলকাতার পুজোকে হেরিটেজ ঘোষণা করেছে। সেই লক্ষ্যে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। এই ফোরামে রাজনীতির কোনও গন্ধ নেই। সকল পুজো কমিটিকেই ডাকা হয়েছে। রাজনীতির বাইরে ফোরাম তৈরি করা হয়েছে। এই ফোরাম সারা বছর ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করবে। হাওড়া প্রায় ১,৩৩২ রেজিস্ট্রার্ড পুজোর মধ্যে ৯০০ পুজোর কর্মকর্তারা এদিন অংশগ্রহণ করেছেন। হাওড়ার উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রতিমা দর্শনের যাতায়াতে সমস্যা আছে। সেই ব্যাপারটি পরিবহন মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাতে সমন্বয় ঠিক হয়। উত্তর ও দক্ষিণের যোগাযোগ যাতে ঠিক থাকে।