তীব্র পানীয় জলের কষ্টের মধ্যেই চলছে অবৈধ বালি পাচার।
সৌমিত্র গাঙ্গুলি, পশ্চিম বর্ধমানঃ- তীব্র দাবদাহ। জল কষ্টে আসানসোল। দামোদর নদের জল কমছে। প্রয়োজন মত জল পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। প্রয়োজনীয় জলের ট্যাংকারও অমিল। তবুও বালি উত্তোলন চলছে দামোদর নদ থেকে। রাতের অন্ধকারে ট্রাক্টরে বালি পাচারের অভিযোগ। সেই অভিযোগে আসানসোলের হিরাপুর থানা একটি ট্রাক্টর সহ দুজনকে আটক করেছে বলে সূত্রের খবর।
তৃণমূল কাউন্সিলর দিলীপ ওরাং এর দাবি পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে। রাতের অন্ধকারে বালি চলছে বলে খবর তিনি পেয়েছেন। পুলিশ সম্ভবত 2 জনকে আটক করেছে বলেও জানান তিনি। অবৈধ ব্যবসার ক্ষেত্রে পুলিশ ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি। তৃণমূলের আর এক নেতা অশোক রুদ্র জানান – অবৈধ বালির বিরুদ্ধে আন্দোলন তিনি করেছিলেন। বালির গাড়িতে চাপা পড়ে তিনজনের মৃত্যুও হয়েছে। ব্যবসা অবৈধ হলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।
যদিও কংগ্রেস নেতা প্রসেনজিৎ পুঁইতুনডি বলেন ..মাঝে মধ্যে ই শোনা যায় বালি বন্ধ হয়ে গেছে। এ সব গল্প । তিনি দাবি করেন, কয়েক বছর আগে যারা বালির কারবারের সঙ্গে যুক্ত ছিল আজ তারাই বালির ব্যবসা করছে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে পার্টনার শিপে। সঙ্গে রয়েছে পুলিশ প্রশাসন; তার অভিযোগ।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেও আসানসোলের হিরাপুর থানার অন্তর্গত দামোদরের চরে হাতে নাতে অবৈধ বালির গাড়ি ধরেছিলেন বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। কাগজ পত্র ও পরীক্ষা করেছিলেন তিনি। তারপরেও আবার কিছুদিন পরে শুরু হয়ে যায় এই ব্যবসা। রাতের অন্ধকারে চলতে থাকে বলি পাচার। যদিও প্রশাসনের হটাৎ অভিযানে কিছুটা হলেও আতঙ্কে অবৈধ বালির ব্যবসায়ীরা।
বালি উত্তোলনের ফলে কমে যাচ্ছে নদীর নাব্যতা। জলকষ্টে ভুগছে মানুষ। তৃণমূল বলছে তারা অবৈধ বালির বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। কংগ্রেস তৃণমূল কেই কটাক্ষ করছে। পুলিশ বালির গাড়ি আটক করেছে। এখন দেখার যে এই ঘটনা শুধুই আই. ওয়াশ না এই অভিযান নিয়মিত চলে, প্রশ্ন থাকছেই।