একুশে জুলাই এর আহতদের দেখতে হাসপাতালে ভিড় নেতা মন্ত্রীদের! আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা

পশ্চিম মেদিনীপুরঃ- গতকাল বাস দুর্ঘটনায় আহতদের দেখতে মেদিনীপুর হাসপাতালে পরিদর্শনে এলেন রাজ্যের মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া। শনিবার মেদিনীপুর হাসপাতালে আসেন রাজ্যের মন্ত্রী। উল্লেখ্য, গতকাল ধর্মতলায় একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ শেষ করে পুরুলিয়া ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তৃণমূল সমর্থকদের একটি বাস। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর থানার অন্তর্গত ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর কৃষ্ণপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনায় এক জনের মৃত্যুও হয়েছে। দলীয় সূত্রে খবর, মৃতের নাম বিকাশ টুডু (২৮)। তাঁর বাড়ি বান্দোয়ান থানার ধডুংরি গ্রামে। দুর্ঘটনায় অন্তত ৫৭ জন জখম হয়েছেন। তাঁদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

দুর্ঘটনার খবর পেয়েই একে একে হাসপাতালে আসতে শুরু করেন বিভিন্ন নেতা থেকে মন্ত্রী সকলেই। গতকালই রাত্রি প্রায় ১টা নাগাদ আহতদের দেখতে মেদিনীপুর হাসপাতালে আসেন রাজ্যের মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া। গতকাল রাতেই মেদিনীপুর আসেন মন্ত্রী মানুষ ভুইয়া। গতকাল রাত্রির পর আজ শনিবার  ফের হাসপাতালে পরিদর্শনে আসেন মন্ত্রী। কথা বলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর সাথে। কথা বলেন আহতদের সাথে।  হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসায় কোন রকম যেন গাফিলকি না থাকে সেই বিষয়েও খতিয়ে দেখেন মন্ত্রী।

অপরদিকে,  হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৫৭ জনের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা সামান্য গুরুতর হওয়ায় তাদের হাসপাতালেই রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ওই ৫ জনের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হাওয়ায় তাকে রাখা হয়েছে আইসিউতে। বাকি ৫২ জনকে শনিবারই ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরা। তাদের সকলকেই একটি বাসের ব্যবস্থা করে হবে দলের তরফ থেকে। যে বাসে করে সকলকেই বাড়িতে বাড়িতে ছেড়ে আসা হবে। একই সাথে জেলা সভাপতি আরও জানান, সমস্ত আহতদের এবং মৃতের পরিবারকে দলের তরফ থেকে দেওয়া হবে আর্থিক সাহায্য।

শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরা, রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভূঁইয়া ছাড়াও হাসপাতালে আসেন বিধায়ক দিনেন রায়, শালবনির বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো, মেদিনীপুর পৌরসভার পৌরপ্রধান সৌমেন খান, মেদিনীপুর সদর মহকুমা শাসক কৌশিক চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *