সন্দেশখালির জাগরণ নতুন সূর্যোদয়; মন্তব্য ডঃ সুকান্ত মজুমদারের।

বালুরঘাট: ১০ বছর পর সন্দেশখালিতে বিজেপির কর্মকান্ড শুরু করতে পারাকে নতুন সুর্যোদয়ের সাথে তুলনা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আজ তার নিজের সংসদীয় অঞ্চলে জনসংগে বেড়িয়ে সংবাদ মধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই কথা বলেন। সুকান্ত বলেন মানুষ ভয় উপেক্ষা করে বেরিয়ে আসছে। নিজেরা নিজেদের মত কর্মকান্ড করতে পারছে। এভাবেই রাজ্যে গনতন্ত্রের নতুন সুর্যোদয় হবে। ক্রিশ্ননগরের তৃনমুলের প্রার্থী মহুয়া মৈত্র গতকাল তার প্রতিদ্বন্দ্বি বিজেপির প্রার্থী রানীমার করা মন্তব্যকে কটাক্ষ করে বলে ছিলেন তিনি রাজা বলতে রাম মোহন রায়কে চেনেন, আর রানী বলতে রানী রাসমনীকে চেনেন। মহুয়ার  এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির সভাপতি বলেন উনি আগে বলুন রাজ্যের সারদা রানী কে তিনি চেনেন কি না ও রাজ্যের সবচেয়ে বড় ডাকাত রানীকে চেনেন কি না? তিনি নিশ্চই চেনেন এবং আমার মনে হয় উনি হাড়ে হাড়ে চেনেন।

অপরদিকে সংবাদ মধ্যমের প্রশ্নের মুখে রাজ্যের দুই তৃনমুলের নেতা গতকাল কল্যান ব্যানার্জী ও  আজ সৌগত রায় মেজাজ হারাচ্ছেন।  সে নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে সুকান্ত বলেন, দেখুন মানুষ কখন মেজাজ হারায়, যখন তাদের কাছে যুক্তি থাকেনা, মোদী ঝড়ে সব ভয়ে কাপছে। এই তো কেবল শুরু,  মোদীজী এরপর যখন রাজ্যে এসে কার্পেট বম্বিং শুরু করবে তখন তো সেই ঝড়ে তৃনমুলের সব উড়ে যাবে – মন্তব্য সুকান্তবাবুর।

অন্যদিকে সন্দেশখালির বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড নিয়েছেন। সেই নিয়ে তৃনমুলের প্রচারের পরিপ্রেক্ষিতে সুকান্ত বাবুর অভিযোগ; প্রথমত সরকারি সুবিধে কোন দলের নয়।  এছাড়াও তৃনমুল এই নিয়ে তাদের সোসাল মিডিয়ায় একাউন্টে রেখা পাত্রের বিরুদ্ধে কোন ব্যাক্তিগত বিষয় নিয়ে প্রচার চালাতে পারে না। এটা অপরাধ মুলক কাজ করেছে তৃনমুল। তার ২য় প্রশ্ন সরকারি তথ্য তৃনমুলের কাছে গেল কি ভাবে?  আর তৃতীয় প্রশ্ন সরকারি সুবিধে সবার জন্য।  তৃনমুলের তোলা প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে সুকান্তর অভিযোগ তাহলে তো বলতে হয় মোদীজি করোনার ভ্যাক্সিন সবাইকে দিয়েছিলেন বিনামুল্যে। তার এক্ষেত্রে প্রশ্ন তাহলে তৃনমুলের লোকেরা সেই ভ্যাকসিন কি ভাবে শরীরে নিয়ে ঘুড়ে বেড়াচ্ছেন?  তার সোজাসাপটা জবাব; তাহলে তো সরকারি সুবিধায় ভ্যাকসিন নেওয়া  তৃনমুলের লোকজনদের সুইসাইড করা উচিত, মন্তব্য তার।

এর পাশাপাশি কুচবিহারের তৃনমুল নেতা উদয়ন গুহকে বড় গুন্ডা আখ্যা দিয়ে বলেন; উনি নিশীথ প্রামানিকের সাথে পেরে না উঠে এই গুন্ডাগিরি করছেন। কিন্তু উনি কখনও ভাবেন নি বিজেপি যদি প্রতিরোধে নামে তাহলে তৃনমুলকে কুচবিহারে খুজে পাওয়া যাবে কি না?  সে দিকে খেয়াল রেখেই উনি যেন বেশি না বাড়েন। ভোটের রেজাল্টের পর এরা সব গর্তে ঢুকে যাবে।

এদিকে গার্ডেনরীচে পুরসভার পক্ষ থেকে অবৈধ্য নির্মান বাড়ি ভাংগার ব্যাপারে সুকান্ত বলেন সবটাই ববি হাকিমের আই ওয়াস,  আগে উনি ১২ জনের মৃত্যুর দায় নিয়ে পদত্যাগ করুন তারপর এসব নাটক করতে আসুন বলে কটাক্ষ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *