প্রতিশ্রুতি রাখলেন বিধায়ক। এশিয়ান পাওয়ার লিফটিং প্রতিযোগিতার এন্ট্রি ফি ৮০ হাজার টাকাই তুলে দিলেন হাওড়ার স্নেহা ঘরামি’র হাতে।
হাওড়াঃ- অর্থের অভাবে এশিয়ান পাওয়ার লিফটিং প্রতিযোগিতায় সুযোগ পেয়েও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল হাওড়ার সব জুনিয়র পাওয়ার লিফটার হাওড়ার স্নেহা ঘরামি’র ভবিষ্যৎ। খবর জানতে পেরেই স্নেহাকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছিলেন ডোমজুড়ের বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ। এবার সেই প্রতিশ্রুতি রাখলেন বিধায়ক। মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই বালির নিশিন্দা সাঁপুইপাড়ার কিশোরী ভারোত্তোলক স্নেহা ঘরামি’র হাতে ৮০ হাজার টাকা তুলে দিলেন বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ। কেরালায় অনুষ্ঠিত হতে চলা এশিয়ান ওয়েটলিফটিং প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য নির্বাচিত হয়েও মাত্র ৮০ হাজার টাকা জোগাড় করতে না পারার জন্য অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল স্নেহার ওই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ।
সংবাদমাধ্যমে এই খবর জানতে পেরে অর্থের সংস্থান করার প্রতিশ্রুতি দেন বিধায়ক। তিনি নিজে ৫০ হাজার টাকা এবং রাজ্য ক্রীড়া দপ্তর থেকে বাকি অর্থের ব্যবস্থা করে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিধায়ক। কিন্তু প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে স্নেহার আনুষঙ্গিক খরচ, খেলাধুলোর পোষাক ইত্যাদির জন্য আরও অর্থের প্রয়োজন অনুভব করে তিনি নিজেই বিধায়ক তহবিল থেকে ৮০ হাজার টাকা বুধবার তুলে দেন স্নেহার হাতে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের বাধা দূর হওয়ায় এখন স্বাভাবিক ভাবেই হাসি ফুটেছে স্নেহার মুখে। এখন নির্ভয়ে প্রস্তুতি মনসংযোগ করতে পারবে সে। প্রসঙ্গত, চলতি বছর ১ মে থেকে কেরালায় অনুষ্ঠিত হবে এশিয়ান পাওয়ার লিফটিং চ্যাম্পিয়নশিপ। সেই প্রতিযোগিতাতেই সুযোগ পেয়েছে বালির নিশ্চিন্দার স্নেহা।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য প্রয়োজন ছিল ৮০ হাজার টাকা। এন্ট্রি ফি বাবদ এই টাকা দেওয়ার সামর্থ্য ছিলনা স্নেহার পরিবারের। এন্ট্রি ফি’র টাকা কিভাবে জোগাড় হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তা ছিল স্নেহার পরিবারের। বাবা উত্তম ঘরামী ভ্যান নিয়ে রাস্তায় ঘুরে ফল বিক্রি করেন। এদিকে, মেয়ের এই পাওয়ার লিফটিং এর প্রশিক্ষণ খুবই ব্যয়বহুল। সুষম খাবারদাবার নিয়মিত প্রয়োজন হয়। সবকিছুই জোগাড় করতে হয় অভাব থাকা সত্ত্বেও। এখন বিধায়ক পাশে এসে দাঁড়ানোয় খুশি স্নেহার পরিবার।