টোটোর বেআইনি নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে এফআইআর করে ফ্যাক্টরিতে তালা মারার হুঁশিয়ারি পরিবহন মন্ত্রীর।

হাওড়াঃ- এই মুহূর্তে ই-রিক্সা বা টোটোর কোন রুট পারমিট নেই। কিন্তু তা সত্বেও বিভিন্ন রাস্তায় টোটোর কারণে যানজট হয়, সেই যানজট কিভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব হবে এবং কোন টোটো কোন রুট দিয়ে যাবে তা স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি এরাই স্থির করবেন। মঙ্গলবার বিকেলে হাওড়ার পদ্মপুকুর ক্যারি রোডে ট্রাফিক পুলিশের এক সচেতনতা শিবিরে উপস্থিত হয়ে রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী একথা বলেন। তিনি বলেন, কোর্টের নির্দেশ অনুসারে তিন চাকার বাহন টোটো ইত্যাদি রাজ্য সড়ক বা জাতীয় সড়কে যাতায়াত করতে পারবে না।

এছাড়া যেখানে টোটো তৈরি হচ্ছে সেখানে যদি কোনও বেনিয়ম বা বেআইনি বিষয় থাকে ম্যানুফ্যাকচারদের বিরুদ্ধে এফআইআর করে তৎক্ষণাৎ সেই কারখানায় তালা বন্ধ করা হবে। এদিন পরিবহন মন্ত্রী আরও বলেন, বাসের ক্ষেত্রে ওভারলোডিং করে মাল নিয়ে যাওয়া যাবেনা। সেই ক্ষেত্রে যে বাসের যে ক্যাপাসিটি আছে পারমিট আছে সেই অনুযায়ী মাল নিতে হবে। ওভারলোডিং করে যাওয়া যাবে না। সেটা আমরা বারবার বলছি। এছাড়াও পরিবহন মন্ত্রী এদিন বলেন, ধর্মতলা থেকে বাস স্ট্যান্ড তুলে দেয়া হলে বিকল্প কোথায় করা হবে তা দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন আগে যখন হাওড়া ব্যান্ডেল রুটের ট্রেন পথ প্রথম চালু হয়েছিল তখন ধর্মতলাকে কেন্দ্র করে অফিসপাড়া গড়ে উঠেছিল।

এখানে গাড়ি দাঁড়াতো। তবে এখন ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড তুলে দেওয়া হলে সেটা কোথায় করা হবে তার বিকল্প জায়গার কথাও ভাবা হচ্ছে। এছাড়া যে সমস্ত দূরপাল্লার গাড়ি ধর্মতলা থেকে ছাড়ে সেই সমস্ত গাড়িগুলোকে আপাতত বিভিন্ন ডিপোতে রাখা হচ্ছে। যখন যে গাড়ির টাইম সেই টাইমের এক ঘন্টা আগে ডিপো থেকে ধর্মতলায় আনা হচ্ছে। সেখানে প্যাসেঞ্জার নিয়ে গাড়ি বেরিয়ে যাচ্ছে। ৮-১০ ঘন্টা ধরে গাড়ি ধর্মতলা চত্বরে দাঁড়িয়ে থাকছে না বলে এদিন পরিবহন মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *