গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য হাওড়ার সাঁকরাইল রঘুদেববাটি এলাকায়। আটক ৪।

হাওড়াঃ- গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে হাওড়ার সাঁকরাইল মানিকপুরের রঘুদেববাটি  এলাকায়। সূত্রের খবর, রঘুদেববাটির বাসিন্দা গোবিন্দ নস্করের সঙ্গে নলপুর বেটিয়ালির বাসিন্দা সুস্মিতার বিয়ে হয় ৮ বছর আটেক আগে। তাদের একটি ৬ বছরের কন্যা সন্তান আছে। মৃতার পরিবারের অভিযোগ বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ি থেকে তার স্বামী বিভিন্নভাবে তাকে বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিত। শনিবার সকালে সুস্মিতার বাপের বাড়িতে খবর যায় তাদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। মৃতার বাপের বাড়ির অভিযোগ, তাদের মেয়েকে মেরে গোটা ঘটনা পুড়ে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য এদিন সাঁকরাইল থানার পুলিশ দেহ নিয়ে যায়। সুস্মিতার শাশুড়ি, স্বামী, ভাসুর এবং জা’কে মানিকপুর তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ আটক করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃতার খুড়তুতো বোন পম্পা ঢালি বলেন, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই অশান্তি চলছিল। ঝগড়া অশান্তিও হয়েছে। পঞ্চায়েতে বিচার হয়েছে। জামাই বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করে। পয়সার জন্য চাপ দিত। মেয়েকে মেরে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দিত।

মেয়ে ফিরে আসার পর শ্বশুরবাড়ি যেতে চাইত না। যাতে সংসার ঠিকভাবে করতে পারে সেই কারণে ওকে বুঝিয়ে ফেরত পাঠান হত। আমরা শাস্তি চাই। মৃতার দাদা বলেন, বোনকে বাথরুমে ঢুকিয়ে মেরে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিন ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ খবর আসে বোন সুইসাইড করেছে। দেখে মনে হয়েছে মেরে গায়ে আগুন দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা ৩ ভাই ১ বোন। প্রায় ৮ বছর বোনের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের কয়েক মাস ঠিক ছিল তারপর থেকেই অশান্তি শুরু হয়। বারেবারে মারধর করে ঘর থেকে বার করে দিত। ছেলে একটা বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করত। প্রায়ই মারধর করত। শাশুড়ি উল্টোপাল্টা কথা বলত। মারধর করত। বোনের স্বামী গোবিন্দ, শাশুড়ি, দাদা এবং বৌদির বিরুদ্ধে অভিযোগ। ওদের কঠিনতম শাস্তি চাই। মৃতার দিদি শর্মিষ্ঠা নস্কর বলেন, আমার বোন যেমন গিয়েছে ওদের ৪ জনেরও তেমনই চরম শাস্তি চাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *