জলকষ্টে জেরবার বালি-বেলুড়ের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষ।

হাওড়াঃ- পানীয় জলের সমস্যায় ভুগছেন বালি পুরসভা এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষ। বালি পুরসভা এলাকায় পানীয় জল সরবরাহের জন্য কেএমডিএ এর তত্ত্বাবধানে থাকা পাম্পিং স্টেশনের পাম্প খারাপ হাওয়ায় ব্যাপক জলকষ্টের মধ্যে পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। কলকাতা, উত্তরপাড়া ও হাওড়া পুরসভা থেকে জলের ট্যাঙ্ক দিয়ে জল সরবরাহ করা হচ্ছে। কয়েকদিন ধরে বালি পুরসভার বিএসই গ্রাউন্ড, লালা বস্তি, জঙ্গি সিংহ গলি সহ বালি ও বেলুড়ের বিস্তীর্ণ এলাকায় এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা স্বপ্না পাত্র বলেন, টিউবওয়েল থেকে জল নিয়ে এসে কাজ করা হচ্ছে।

স্নানের জন্য গঙ্গায় যেতে হচ্ছে। খাবার জল অনেকে কিনে খাচ্ছেন। গত কয়েকদিন ধরে এই সমস্যা হচ্ছে। আরেক স্থানীয় বাসিন্দা দেবীকা হালদার বলেন, এখানে জল আসছে না। পানীয় জলের জন্য মারামারি হচ্ছে। টিউবওয়েলের জলে সমস্ত কাজ হচ্ছে। আমাদের এখানে কোনও পানীয় জল আসছে না। ভাগ্য দাস নামের আরেক বাসিন্দা বলেন, এখন আমরা পানীয় জলের সমস্যায় ভুগছি। সকাল ৭টায় জল এসেছিল। ১০ মিনিট বাদে সেই জল চলে যায়। দুপুরে আধঘন্টা থাকছে। তারপর চলে যাচ্ছে। সারাদিন জল দিচ্ছে না। আমরা গঙ্গার জলেই রান্না করছি। এদিকে এই বিষয়ে পুর প্রশাসকমণ্ডলীর  সদস্য রিয়াজ আহমেদ বলেন, এই ব্যাপারে আমরা দুঃখিত। ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে পাম্প করে আনার জন্য ৩টে পাম্প প্রতিদিন চলে। এখন নদীতে চড়া পড়ে গিয়েছে। সেইজন্য ১টি পাম্পের কাদা জমে গিয়েছে। ফলে সেই পাম্পের যন্ত্রপাতি ভেঙে গিয়েছে। তা সারাইয়ের জন্য ওই পাম্পটি বন্ধ রাখা হয়েছে। এর ফলে জলের সমস্যা হচ্ছে। চেষ্টা করা হচ্ছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাজ শেষ করার। ইতিমধ্যে কেএমডিএ সারাইয়ের কাজ শুরু করে দিয়েছে।

কলকাতা পুরনিগম, হাওড়া পুরনিগম, উত্তরপাড়া পুরসভা থেকে জলের ট্যাঙ্ক নিয়ে এসে জলের পানীয়  সমস্যা দুর করার চেষ্টা করা হচ্ছে। শ্রীরামপুর থেকে এখনও বেশ কিছু জায়গায় জল আসে। কিন্তু পর্যাপ্ত জল পাওয়া যাচ্ছে না। উত্তর হাওড়ায় কালিতলায় একটা ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট তৈরি হচ্ছে। সেটা হয়ে গেলে লিলুয়ায় জলের সমস্যা দূর হবে। এর পাশাপাশি কিছুটা জল বালিকে দিতে পারা যাবে। জলের সমস্যা নেই। পুরসভাকে জানালে জলের ট্যাঙ্ক পাঠানো হচ্ছে। এই সমস্যা ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *