ডাইনি অপবাদে সামাজিক ভাবে বয়কটের শিকার মহিলা।
পশ্চিম মেদিনীপুরঃ- ডাইনি অপবাদে সামাজিক ভাবে বয়কটের শিকার মহিলা। পঞ্চাশ হাজার টাকা না দিলে সমস্যার সমাধান করা হবে না বলে জানিয়েছেন গ্রামের মোড়লরা। ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা দু’নম্বর ব্লকের নীলগঞ্জ গ্রামে।
জানাযায় দুই বছর আগে, গ্রামের এক নাবালক ও এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়, শারীরিক অসুস্থতার কারণে, তারপর থেকেই গ্রামের বেশ কিছু মানুষজন ওই গ্রামেরই এক আদিবাসী মহিলা রুপালী হেম্বরম কে ডাইনি অপবাদ দেয়। তারপর থেকেই ওই মহিলাকে বিভিন্নভাবে অপবাদ দিতে থাকে আদিবাসী সমাজের মানুষজনেরা।এমনকি ওই গ্রামের বেশকিছু মোড়ল নিদান দেয় পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে তারপরে সমস্যার সমাধান নিয়ে মীমাংসায় বসবেন তারা। কিন্তু পঞ্চাশ হাজার টাকা না দেয়ার কারণে, সমস্যার সমাধানও হয়নি। প্রায় দুই বছর ধরে সামাজিকভাবে বয়কট হয়ে রয়েছে আদিবাসী ওই পরিবার। তারপর থেকেই মাঝেমধ্যে চলে মানসিক অত্যাচার, বাড়ি ভাঙচুরও করা হয়েছে বলে অভিযোগ রূপালীর।
গোটা ঘটনায় অসহায় ভাবে দিন কাটাচ্ছে রুপালি ও তার পরিবারের সদস্যরা। রুপালি অভিযোগ তার স্বামী নবীন হেম্বরম অসুস্থ তাকে রেখে আসতে হয়েছে আত্মীয়ের বাড়িতে, ছেলে মেয়েরাও লেখাপড়া করে, গ্রামের এই পরিস্থিতির জন্য অধিকাংশ দিন তারা আত্মীয়ের বাড়িতে থাকে। রুপালির কাতরা কুতি আমি ডাইনি নই -আমি সকলের সাথে মিলেমিশে বসবাস করতে চাই সমস্যার সমাধান করে দিন।এই নিয়ে রুপালি পুলিশ থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রশাসনকেও বিষয়টি জানিয়েছেন বলে দাবি।
এ বিষয়ে আদিবাসী সংগঠন তথা ভারত যাকাত মাঝি পরগনা মহলের নেতা, দেবেন্দ্র মুর্ম্মূ বলেন, দ্রুত বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে, কিছু মানুষের মধ্যে এখনো কুসংস্কার থেকে গিয়েছে।