সালানপুর ব্লকে অভিষেকের রোডশো; বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ।
সৌমিত্র গাঙ্গুলি, সালানপুর, পশ্চিম বর্ধমানঃ- পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের বারাবনি বিধান সভার সালানপুর ব্লকে শুক্রবার দুপুরে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে এসে আরো একবার বিজেপি ও কেন্দ্র সরকারকে আক্রমণ করলেন তৃনমুল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। এদিন রোডশো শেষে জনসংযোগ যাত্রায় হুডখোলা গাড়ির উপর থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের পরে দিল্লি গিয়ে আন্দোলন করার হুঁশিয়ারী দিলেন রাজ্য শাসক দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড।
এদিন দুপুর আড়াইটের পরে অভিষেক ব্যানার্জীর হেলিকপ্টার নামে সালানপুরের রুপনারায়নপুরে হিন্দুস্তান কেবলস ময়দানে। সেখানে হেলিকপ্টার নামার জন্য অস্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরী করা হয়েছিলো। তাকে সেখানে পুষ্পস্তবক দিয়ে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃনমুল কংগ্রেসের সভাপতি বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, আসানসোল পুরনিগমের মেয়র তথা বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়, তৃনমুল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন তরফে দাসু, দলের জেলা চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল পুরনিগমের দুই ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক ও ওয়াসিমুল হক, দুই বিধায়ক তাপস বন্দোপাধ্যায় ও হরেরাম সিং, সালানপুর ব্লকের সভাপতি মহঃ আরমান, সহ সভাপতি ভোলা সিং, বারাবনি ব্লকের সভাপতি অসিত সিং সহ অন্যান্যরা।
হেলিপ্যাড থেকে গাড়িতে ডিএভি স্কুল মাঠে আসেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। সেখান থেকে শুরু হয় তার রোডশো। আড়াই কিলোমিটার রাস্তা শেষ করে বিকেল পৌনে চারটে নাগাদ আমডাঙ্গা মোড়ে এসে পৌঁছান অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।
সেখানে তিনি আরো বলেন, দেড়মাসের মধ্যে দিল্লির কৃষি ভবনের সামনে ১০ লক্ষ মানুষ নিয়ে গিয়ে আন্দোলন করে বাংলার বকেয়া টাকা নিয়ে আসবো। দিল্লিতে বসে নরেন্দ্র মোদির সরকার বাংলার মানুষদের ভাতে মারবে, তা হতে দেবোনা। অভিষেক বলেন, দুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন তিনি দূর্নীতিগ্রস্থদের গ্যারেন্টার। তিনি দূর্নীতি ও চুরি আটকাবেন। আর এই পশ্চিম বর্ধমান জেলায় সবচেয়ে বড় চোর ও দূর্নীতিবাজ হলেন জিতেন্দ্র তেওয়ারি। সে এখন বিজেপিতে গিয়ে বসে। সুদীপ্ত সেন তার চিঠিতে হেমন্ত বিশ্বশর্মা ও শুভেন্দু অধিকারীর নাম লিখেছিলেন। তার মধ্যে একজনকে আবার তোয়ালে মুড়ে টাকা নিতে দেখা যায়। তাদের মধ্যে একজন অসমের মুখ্যমন্ত্রী, অন্যজন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন; এই রাজ্যের বিজেপি নেতারা আপনাদের ভোটে জিতবে, আর দিল্লি গিয়ে আপনাদের টাকা বন্ধ করতে বলবে। তাই বলছি, কানে না শুনে চোখে দেখে ভোট দিন। তার কটাক্ষ বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন মানে ডাবল চুরি।