“রোদে পুড়ে সোনার খুব কষ্ট হচ্ছে”, নাম না করে অভিষেককেও কটাক্ষ বিজেপির রাজ্য সভাপতির।

হাওড়াঃ- বিজেপি রাজ্যের ক্ষমতায় এলে দশ বছরের মধ্যে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ সমান করে দেবে। উলুবেড়িয়ায় বললেন সুকান্ত। রোদে পুড়ে সোনার খুব কষ্ট হচ্ছে, নাম না করে অভিষেককেও কটাক্ষ বিজেপির রাজ্য সভাপতির। সোমবার হাওড়ার উলুবেড়িয়া পূর্ব বিধানসভা ১ নম্বর মন্ডল রঘুদেবপুর অঞ্চল বিজেপি-র তরফ থেকে দলের রঘুদেবপুর কার্যালয়ের পুনর্নির্মিত ভবনের শুভ উদ্বোধন ককর্মসূচিতে এসে দলের রাজ্য সভাপতি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ওই মন্তব্য করেন। পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন ইস্যুতেও তিনি প্রতিক্রিয়া দেন। রাজ্যের ডিএ আন্দোলন সম্পর্কে সুকান্ত মজুমদার সাংবাদিকদের এদিন বলেন, ডিএ আন্দোলনকারীদের প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। এই রাজ্য সরকার সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দিতে পারবে না। কারণ তাদের হাতে টাকা নেই। মেলা, খেলা আর দান-ধ্যান এসব করতে গিয়ে তাদের টাকা শেষ। সুতরাং বিজেপি ক্ষমতায় এলে ১০ বছরের মধ্যে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ সমান করে দেবে। একেবারে হয়তো দেওয়া যাবেনা। আমরা ক্ষমতায় এলে ধাপে ধাপে ডিএ বাড়িয়ে দশ বছরের মধ্যে কেন্দ্রীয় হারে সমান ডিএ আমরা দিতে পারব। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দু’মাসের জনজোয়ার কর্মসূচি সম্পর্কে সুকান্ত মজুমদার নাম না করে বলেন, রোদে পুড়ে সোনার খুব কষ্ট হচ্ছে। সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মেছেন। আগে কখনও রোদে ঘোরেননি। এখন দেখা যাক এই অবস্থায় ময়দানে ক’দিন টিকতে পারেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, দল এখন ওনার দায়িত্ব নিচ্ছে না। ডুবন্ত মানুষ যেমন খড়কুটো ধরে বাঁচতে চায় ওনারও আজকে সেই একই পরিস্থিতি হয়েছে। উনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করছেন। আসলে ওনার রাজনৈতিক কেরিয়ার শেষ হয়ে গেছে। আগামী চার থেকে পাঁচ বছর পর যখন তিনি জেল থেকে বেরোবেন তখন তিনি নড়তেও পারবেন না আর হাঁটতেও পারবেন না। তাই ওনাকে চার-পাঁচ বছর ওখানে থাকার চিন্তাভাবনা করতে বলুন।

শওকত আলি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে সুকান্ত মজুমদার বলেন, শওকত আলিকেও রেডি থাকতে বলুন যেকোনোও সময় ওনারও ডাক আসতে পারে যত তাড়াতাড়ি। রাজ্যপাল প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, আশা করি রাজ্যপাল সংবিধান মেনে কাজ করবেন উনার যা দায়িত্ব সেটা করবেন সেটাই আমরা আশা করি। অনুব্রত মন্ডলের গরু পাচার সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পার্টির দৌলতে গরু পাচার হয়েছে। অনুব্রত একা একা করেননি। একা এত বড় কাজ করতে পারেননা। ওই টাকা কলকাতা এমনকি কালীঘাট অবধি পৌঁছাত। টাকার ভাগ তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব পর্যন্ত নিয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর গাড়িতে দুর্ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, একজন জেড ক্যাটাগরি সুরক্ষিত বিরোধী দলনেতা যিনি ক্যাবিনেট মিনিস্টারের সমান পদমর্যাদার সুতরাং তাঁর যখন কনভয় আসছে সেখানে পুলিশেরই উচিত ছিল নিরাপত্তা দেওয়া। বিষয়টি দেখা। বিরোধী দলনেতার কনভয়ের সামনে একজন সাইকেল নিয়ে চলে এলো কিভাবে ? পুলিশের কি সেটা ব্যবস্থা নেওয়া উচিত নয় ?  একজন ক্যাবিনেট মিনিস্টার রাস্তা দিয়ে গেলে পুলিশ যেভাবে নিরাপত্তা নিয়ে থাকে একজন বিরোধী দলনেতা গেলে একইভাবে নিরাপত্তা দেওয়া পুলিশেরও উচিত ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *