অভিনব প্রতিবাদ শুভেন্দুর, পাঁচলা বিডিও’র জন্য কালো গোলাপ ও মিষ্টির প্যাকেট দিয়ে এলেন জয়েন্ট বিডিও’র হাতে।

হাওড়াঃ- পঞ্চায়েত ভোটে যথেচ্ছ লুঠ এবং অনিয়মের অভিযোগ তুলে অভিনব প্রতিবাদ শুভেন্দুর, পাঁচলায় বিডিওকে না পেয়ে জয়েন্ট বিডিও’র হাতে কালো গোলাপ এবং মিষ্টির প্যাকেট তুলে দেন শুভেন্দু। পঞ্চায়েত ভোটে যথেচ্ছ লুঠ, অনিয়মের অভিযোগ তুলে এবার সমস্ত বিডিও অফিসে কালো গোলাপ ফুল এবং মিষ্টির প্যাকেট বিতরণ করতে চলেছে বিজেপি। সোমবার হাওড়া জেলার পাঁচলা  বিডিও অফিস থেকে এই কর্মসূচি শুরু করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পঞ্চায়েত নির্বাচন একটা ‘প্রহসন’ হয়েছে, সে দাবি আগেই তুলেছিল বিজেপি। এবার শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে নতুন প্রতিবাদ কর্মসূচি হাওড়ার পাঁচলা থেকে শুরু করলো বিজেপি। সোমবার বেলা দেড়টা নাগাদ হাওড়া জেলার পাঁচলা বিডিও অফিসে যান শুভেন্দু। বিডিও এদিন অফিসে সেই সময় উপস্থিত ছিলেন না। তাই বিডিওকে না পেয়ে জয়েন্ট বিডিওকে একটি কালো গোলাপ এবং একটি মিষ্টির প্যাকেট তুলে দেন শুভেন্দু বাবু। শুভেন্দু অধিকারী কটাক্ষের সুরে জয়েন্ট বিডিওকে বলেন, ‘আপনারা পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্র রক্ষা করেছেন। তার জন্য এই ফুল আর মিষ্টি দিয়ে গেলাম।’

পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘এরা এত সুন্দর গণনা করেছে, মমতাময়ী নির্মমতাকে সব ভোট লুঠ করে উপহার দিয়েছে। চৌর্যবৃত্তির কাজে যুক্ত গোটা পশ্চিমবাংলার বিডিওরা।’ আগামী দিনে অন্যান্য জায়গাতেও বিজেপি নেতৃত্ব কালো গোলাপ ফুল এবং মিষ্টির প্যাকেট বিডিওদের হাতে তুলে দেবেন বলেও জানান তিনি। মিষ্টি না থাকলে নকুলদানা বা বাতাসা দেওয়া হবে। পাশাপাশি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কর্মীরা ছাড়াও সরকারি আধিকারিকদের একাংশ কারচুপিতে যুক্ত ছিলেন বলে মনে করছেন তিনি। ভোটে কারচুপি করতে তাঁরা অনেকটা সাহায্য করছেন বলে দাবি করেন শুভেন্দু। তবে কালো গোলাপ ও মিষ্টি বিতরণ কর্মসূচি কোনও পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি ছিলনা। হঠাৎই এদিন হাওড়া জেলার পাঁচলা অফিসে গিয়ে হাজির হন শুভেন্দু অধিকারী। তবে বিষয়টি নিয়ে উপস্থিত জয়েন্ট বিডিও কিছু বলতে চাননি। শুভেন্দু অধিকারী বিডিও অফিসে যাওয়ার পর তাঁকে দু -একবার বসার জন্য অনুরোধ করা হয়। তবে তিনি কালো গোলাপ ও মিষ্টি দিয়েই বিডিও অফিস ছেড়ে বেরিয়ে যান। প্রসঙ্গত, এদিন হাওড়ার পাঁচলায় এসে রাজ্যে ৩৫৫ লাগু করার পক্ষে সওয়াল করেন শুভেন্দু। হাওড়ার পাঁচলায় এসে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের পাশে দাঁড়ান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

তিনি এদিন ঘরছাড়া কর্মীদের সঙ্গেও কথা বলেন। তিনি বলেন, বেশ বাড়ি লুট হয়েছে। এবং তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নাম না করেও এদিন তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, এখানে নিরাপত্তা নেই। ৩৫৫ লাগু করার জন্য তিনটি আইনি পদ্ধতি আছে তাও তিনি সাংবাদিকদের বলেন। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এখানে আমাদের দলের পতাকা পর্যন্ত লাগাতে দেওয়া হয়নি। হাওড়ার গ্রামীণের জেলা সভাপতি এসে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে এখানে পতাকা লাগিয়েছেন। তবে জেলা সভাপতি তো সবসময় থাকবেন না। এখানকার মানুষের নিরাপত্তা দেখার দায়িত্ব স্থানীয় প্রশাসনের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *