বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে জোরজুলুম ও হেনস্থা আবাসিকদের; অভিযুক্ত বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকরা।
সৌমিত্র গাঙ্গুলি, পশ্চিম বর্ধমানঃ- পশ্চিম বর্ধমান জেলার বারাবনি বিধান সভার সালানপুর ব্লকে রূপনারায়ণপুর অঞ্চলে হিন্দুস্তান কেবলস্ পুনর্বাসন সমিতির পক্ষ থেকে বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে দীর্ঘদিন ধরে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে একটি বৃদ্ধাশ্রম পরিচালিত হয়। যেখানে বর্তমানে ২৬ জন আবাসিক রয়েছেন। সেই বৃদ্ধাশ্রমে গত ২১ জুলাই রুটিং চেকআপের নামে রূপনারায়ণপুর বিদ্যুৎ স্টেশনের আধিকারিক বিপ্লব মণ্ডল, অর্ণব মণ্ডল ও প্রভাত সাউ এর নেতৃত্বে আবাসিকদের ওপর ভর দুপুরে জুলুম চালানো হয়। একই সাথে আবাসিকদের নানান ভয় দেখানো হয় বলে অভিযোগ। যদিও আবাসিকরা ওই বৃদ্ধাশ্রমের অভিভাবক হিসাবে স্থানীয় বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়ের নাম করেন। তার পরেও বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকরা ওই বৃদ্ধাশ্রম অর্থের বিনিময়ে পরিচালিত হয় বলে আবাসিকদের অভিযুক্ত করার চেষ্টা করেন ও বিধায়ককে এখুনি ডেকে পাঠাতে হবে বলেও আবাসিকদের ওপর অন্যায় ভাবে চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করেন। একই সাথে বিধায়কের নামেও নানান কটূক্তি করা হয় বলে আবাসিকরা জানিয়েছেন। ঘটনার জেরে বৃদ্ধ অসহায় আবাসিকদের বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তৃণমূলের ২১ শে জুলাই কর্মসূচি শেষে কর্মী সমর্থকেরা এলাকায় ফিরে পুরো ঘটনাটি জানতে পারেন।
তারপরেই তারা অভিযোগ করেন, পুরো ঘটনাটি একটি পূর্ব পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই বিষয়ে বৃদ্ধাশ্রম পরিচালন কমিটির সদস্য সুভাষ মহাজন জানিয়েছেন, ২১ শে জুলাই তারা কেও এলাকায় ছিলেন না। সেই সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে আবাসিকদের হেনস্থা করেছে স্থানীয় বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকরা। তাই তাদের অবিলম্বে অপসারণের দাবি তুলে তারা ইতিমধ্যে ডিই, ডিএম ও আরএম অফিসে অভিযোগ পত্র পাঠিয়েছেন। পাশাপাশি বিষয়টি স্থানীয় বিডিও ও বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়কেও জানানো হয়েছে এবং ঘটনার বিষয় লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সালানপুর BDO দপ্তরে জমা দেওয়া হয় বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন। তবে রূপনারায়ণপুর বিদ্যুৎ দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক না থাকার ফলে আধিকারিকের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এই বিষয় নিয়ে কোন প্রতিক্রিয়া দিতে চাইনি!!