দাঁড়িয়ে আছে একাধিক হাইমাস্ট, তার অধিকাংশই বিকল, অন্ধকারে ডুবছে খড়ার পৌরসভা।

সৌমিত্র গাঙ্গুলি, পশ্চিম বর্ধমানঃ-  ঘাটাল ব্লকের খড়ার পৌরসভার দীর্ঘ কয়েকমাস আগে ১০ টি ওয়ার্ডে বসানো হয় এম.পি. ল্যাড এর টাকায় বেশ কয়েকটি হাইমাস্ট লাইট ও পথবাতি। তার অধিকাংশই কয়েক মাস যেতে না যেতেই বিকল হয়ে পড়েছে। আর এর ফলেই সন্ধ্যার পর অন্ধকারে ডুবছে খড়ার পৌরসভার একাধিক ওয়ার্ড। এমনকি খড়ার পৌরসভার ৮-৯-৫ ওয়ার্ডের ওপর দিয়ে যাওয়া রাজ্য সড়কের ওপরও নেই কোনো আলো।  এলাকাবাসীর দাবি একাধিক লাইট জ্বলছে না সন্ধ্যার পর, যেগুলি জ্বলছে সেই গুলি দপদপ করছে। তার ফলেই সন্ধ্যার পর আতঙ্কের সৃষ্টি হচ্ছে। দীর্ঘ কয়েকমাস ধরে কাউন্সিলর ও চেয়ারম্যান কে জানিয়েও কোনো সুরাহা হয় নি। ওই এলাকার সি.পি.এম. নেতা দেবব্রত রায় বলেন এক একটি হাইমাস্ট লাইট লাগাতে ৮ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। ৬ মাস যাচ্ছে না খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আমরা বাজার থেকে একশো টাকা দিয়ে সি.এফ.এল. বাল্ব কিনলে তার ওয়ারেন্টি থাকে দুই থেকে তিন বৎসর। এতো লক্ষ টাকা করে হাইমাস্ট লাইট লাগানো হচ্ছে তার কোনো ওয়ারেন্টি পিরিয়ড নেই।

এখানে বড় দুর্নীতি হচ্ছে তার সঠিক তদন্ত হলে মানুষ সব বুঝতে পারবে। এই নিয়ে এলাকার বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট বলেন, যে লাইট গুলো খারাপ হয়ে পড়ে আছে সেই গুলো ঠিক হচ্ছে না। আবার ৯১ লক্ষ টাকা খরচ করে নতুন করে টেন্ডার হচ্ছে তার অধিকাংশই হাইমাস্ট লাইট তৃনমূল নেতার বাড়ীর সামনে বসানো হচ্ছে অথচ সাধারণ মানুষকে অন্ধকারে থাকতে হচ্ছে। ৮ লক্ষ টাকা খরচ পড়েছে এক একটি হাইমাস্ট লাইটের দাম। আর সেই লাইট সাপ্লাই দেন আমাদের সাংসদ দীপক অধিকারীর কাছের বন্ধু। এত লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে হাইমাস্ট লাগানো হচ্ছে প্রথমে ৮ টি করে ল্যাম্প দেওয়া হচ্ছে তারপর কয়েকমাস পর ২-৪ টে ল্যাম্পে ঠেকছে তার মধ্যেও হাপ জলছে না। বাকি ল্যাম্প গুলি নামিয়ে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

কোন কোম্পানির লাইটের টেন্ডার হলে কোন কম্পানির লাইট লাগানো হচ্ছে। ৮ লক্ষ টাকার কত টাকা খরচ হয় এই লাইট লাগাতে। আর কত পার্সেন্ট কাটমানী দেব বাবুর কাছে, আর কত পার্সেন্ট কাটমানী কোন নেতার কাছে থাকে; সব তথ্য আমাদের কাছে আছে। সঠিক সময়ে এর তদন্ত হবে অপেক্ষা করুন। এই ৯১লক্ষ টাকা থেকে দেব বাবু ৩০% একাই খাচ্ছে।  মানুষের টাকা নয়ছয় হতে দেবো না। এই ৮ লক্ষ্ টাকা থেকে যদি না দেব বাবু সহ, তৃনমূল কাটমানী না খেত তাহলে ভালো পরিসেবা পেত খড়ারের মানুষ। এই বিষয়ে খড়ার পৌরসভার চেয়ারম্যান সন্ন্যাসী দোলুই বলেন এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। সমস্ত যায়গায় আলো আছে, আমি সম্পূর্ণ ভাবে পরিসেবা দেওয়ার চেষ্টা করি এই হাইমাস্ট গুলির ওয়ারেন্টি পিরিয়ড এখনো আছে, সঠিক সময়ে সেই গুলো ঠিক হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *